পাকিস্তানকে হারাতে মুক্তিবাহিনীর তুমুল লড়াই
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
আসিফুর রহমান সাগর
ইতিহাসের এই দিনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম রজার্স আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শিগিগরই যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। তিনি ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ চায় না, তবে যুদ্ধ বাধলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাতে জড়িয়ে পড়বে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বললেও এই দিনই ২৪ ঘণ্টা থেমে থাকার পর বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর। এদিকে, ১৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মুলতবি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব তৃতীয়বারের মতো সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটো দেওয়ার ফলে বাতিল হয়ে যায়।
এদিকে, ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী ঢাকার পতন দ্রুততর করার প্রয়োজনে যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করে। কেননা ঢাকার পতন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের পরাজয় চূড়ান্ত হবে। সপ্তম নৌবহর বাংলাদেশের উপকূলে পৌঁছানোর আগেই ঢাকা পতন চূড়ান্ত করতে চাইছিল যৌথবাহিনী। তবে এত দ্রুত যে ঢাকা আক্রমণ করা সম্ভব হবে এটা ধারণাতেও ছিল না ভারতীয় সৈন্যদের। মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ করা লড়াইয়ের কারণেই যে এত দ্রুত মিত্রবাহিনী ঢাকার দিকে এগুতে পারছে এ কথা প্রত্যেক ভারতীয় সামরিক অফিসারই স্বীকার করেন। প্রশংসা করেন মুক্তিবাহিনীর।
একাত্তরের এই দিনে পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে মিত্রবাহিনী ঢাকার প্রায় ১৫ মাইলের মধ্যে পৌঁছে যায়। ৫৭ নম্বর ডিভিশনের দুটো ব্রিগেড এগিয়ে আসে পূর্ব দিক থেকে। উত্তর দিক থেকে আসে জেনারেল গন্ধর্ব নাগরার ব্রিগেড এবং টাঙ্গাইলে নামা ছত্রিসেনারা। পশ্চিমে ৪ নম্বর ডিভিশনও মধুমতী পার হয়ে পৌঁছে যায় পদ্মার তীরে। রাত ৯টায় মেজর জেনারেল নাগরা টাঙ্গাইল আসেন। ব্রিগেডিয়ার ক্লের ও ব্রিগেডিয়ার সান সিং সন্ধ্যা থেকে টাঙ্গাইলে অবস্থান করছিলেন। রাত সাড়ে ৯টায় টাঙ্গাইল ওয়াপদা রেস্ট হাউজে তারা পরবর্তী যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনার শুরুতে মেজর জেনারেল নাগরা মুক্তিবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যদি আমাদের বিনা বাধায় এতটা পথ পাড়ি দিতে সাহায্য না করতেন, তাহলে আমাদের বাহিনী দীর্ঘ রাস্তায় যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়তো। রাস্তাতেই আমাদের অনেক শক্তি ক্ষয় হয়ে যেত। এ দিন লে. কর্নেল শফিউল্লাহর ‘এস’ ফোর্স ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে এদিনে ঢাকার উপকণ্ঠে ডেমরা পৌঁছায়। সৈয়দপুরে এদিনে আত্মসমর্পণ করে ৪৮ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের অধিনায়কসহ ১০৭ পাকিস্তানি সেনা।
এদিকে, মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্বার আক্রমণের মুখে দেশের নানা প্রান্তের বিভিন্ন এলাকা একে একে মুক্ত হতে শুরু করেছে। ইতিহাসের এই দিনে যৌথ বাহিনীর অগ্রবর্তী সেনাদল শীতলক্ষ্যা ও বারু নদী অতিক্রম করে ঢাকার ৫-৬ মাইলের মধ্যে পৌঁছে যায়। বালু নদীর পূর্বদিকে পাকিস্তানি বাহিনী স্বীয় পরিসীমায় এক শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। বাসাবো ও খিলগাঁও এলাকার চারদিকে আগে থেকেই পাকিস্তান বাহিনী ফিল্ড ডিফেন্স বা আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যে সর্বাত্মক ব্যবস্থাসহ অবস্থান নিয়েছিল।
এদিকে বগুড়া জেলায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদল মহিমাগঞ্জের দুলুর নেতৃত্বে ও সিহিপুরের বাবলু, খালেক, হামিদ, খলিল, নূরুল, শুকু, ফিনু, জগলু, হাল্লু, লিন্টু এবং আরো অনেকের সহযোগিতায় সুকানপুকুর রেল স্টেশনের কাছে সিহিপুরে পাকিস্তানি সৈন্যবাহী একটি স্পেশাল ট্রেন ডিনামাইটের সাহায্যে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। এতে প্রায় ১৫০ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী চাওড়া এলাকায় অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে দুই জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত ও তিন জন আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনী এক দল পাকিস্তানি সেনাকে রাজাপুর নামক স্থানে এম্বুশ করে। এই এম্বুশে পাকবাহিনীর চার জন সৈন্য নিহত ও দুই জন আহত হয়। মুক্তিবাহিনী কুষ্টিয়া জেলার প্রতাপপুর এলাকায় পাকসেনাদের এম্বুশ করে। এই এম্বুশে পাকবাহিনীর ১১ জন সৈন্য নিহত ও চার জন আহত হয়। ২ নম্বর সেক্টরে সুবেদার মেজর লুত্ফর রহমানের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা লক্ষ্মীপুর রাজাকার ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের আকস্মিক আক্রমণে অনেক রাজাকার হতাহত হয়। এই সংঘর্ষে এলাকার জনসাধারণ বিশেষভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে।
৬ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সহায়ক সৈন্যদের সম্মিলিত বাহিনীর বীর যোদ্ধারা ভুরুঙ্গামারী পাকসেনা অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধে বহু পাকসৈন্য নিহত ও তিন জন পাঞ্জাবি সৈন্য বন্দি হয় এবং ভুরুঙ্গামারী থানা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।
উত্তরাঞ্চলে যৌথবাহিনী দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থেকে ঢাকা মহাসড়ক ধরে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বগুড়ায় তখন শত্রুবাহিনীর কয়েক রেজিমেন্ট কামান ও ট্যাংকসহ অবস্থান করছিল। হিলি রক্ষাব্যূহ ছেড়ে আগেই পাকসৈন্যরা বগুড়ায় চলে এসে গড়ে তুলেছিল শক্তিশালী প্রতিরোধ। রাতে যৌথবাহিনী চারদিক থেকে বগুড়া শহর ঘিরে ফেলে। মধ্যরাতে যৌথবাহিনীর তিনটি ব্যাটালিয়ন উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব-উত্তর দিক থেকে শত্রুর ওপর আঘাত হানে।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- দিনাজপুর জেলা কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি
- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে ছিল নারীর নিথর দেহ
- দিনাজপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মী কারাগারে
- স্বামীর বাড়িতে ফেরা হলো না গোলবানুর
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- খানসামার সেই চাষিদের কাছ থেকে শসা কিনল স্বপ্ন
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- নাশকতার মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি কারাগারে
- সাত বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- হাবিপ্রবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরো সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বাড়ছে
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- বুয়েটে অপরাজনীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
- ‘ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না’
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- কাল থেকে ১৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়