• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পাচারকৃত টাকায় ক্যাসিনোতে জুয়া-নাইটক্লাবে তারেকের ফুর্তি!

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২১  

দীর্ঘদিন উপার্জন না করেও লন্ডনে চোখ ধাঁধানো আয়েশি জীবনযাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 
সম্প্রতি গোয়েন্দারা তার অর্থ যোগানদাতাদের একটি তালিকা হাতে পেয়েছে। সেখানে রয়েছে একাধিক বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীর নাম। যারা ঢাকা ও সিলেট থেকে হুন্ডির মাধ্যমে ‘মাসিক চাঁদা’ হিসেবে মোটা অংকের টাকা দিচ্ছেন। এছাড়া মনোনয়ন বাণিজ্যের টাকা পাওয়ায় তারেক রহমান বিলাসী জীবনযাপন করছেন। 

শুধু হুন্ডি কিংবা মনোনয়ন বাণিজ্যই নয়, লন্ডনে অবস্থানরত সিলেটি রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী থেকেও মোটা অংকের টাকা পাচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল গ্রেফতারের পর পাওয়া গেলো নতুন তথ্য। 

র‌্যাবের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল বলেন, লন্ডনের একটি হোটেল ও মোটেলের মালিকানার শেয়ার দেওয়ার কথা বলে তারেক বিভিন্ন সময় আমাকে প্রলুব্ধ করেন। দেন নানা প্রতিশ্রুতিও। আমিও লোভের বশবর্তী হয়ে তাকে কয়েক দফায় প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার পাঠাই। টাকা পাওয়ার পর তিনি আমার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এমনকি আমাকে মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ার সব জায়গাতে ব্লক করে রাখেন। পরে আমি তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, আমার পাঠানো টাকাতে তিনি একটি নাইটক্লাব কিনেছেন। শুধু তাই নয়, সেখানে নিয়মিত কম বয়সী মেয়েদের নিয়ে মদ খেয়ে ফুর্তি করছেন। ক্যাসিনোতে গিয়ে রাতভর জুয়াও খেলছেন। 

এদিকে লন্ডনের এক ক্যাসিনোতে জুয়ায় মত্ত তারেকের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা যায়, তারেকের উদ্দাম জীবন নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই বিরক্ত তারা। তারেককে টাকার জোগান দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক বর্ষীয়ান নেতাকেও রাজনীতি ছাড়তে হয়েছে। এসব ক্ষোভ এবং দলীয় নেতাকর্মীদের কানাঘুষার মাধ্যমে ধীরে ধীরে বাঙালি কমিউনিটিতে ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়ে তারেকের নৈশ জীবনের কথা। তবে সম্প্রতি সমস্যা আরো জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ দলীয় পদ ও মনোনয়নের টাকা কোনো খাতে খরচ করা হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন খালেদা জিয়া। কিন্তু এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ তারেক।

এমনকি করোনাকালের দেড় বছরেও সাধারণ মানুষ এবং দলীয় কর্মীদের জন্যেও এক পয়সা খরচ করেনি বিএনপি। উল্টো দেশ থেকে কোটি কোটি টাকার ফান্ড সংগ্রহ করে লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করেছেন দুর্নীতিবাজ তারেক। লন্ডনের বাঙালি পাড়ায় ছড়িয়ে পড়া এসব তথ্য যাচাই করার জন্য কিছুদিন আগে কাজ শুরু করে লন্ডনে অবস্থানরত অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি দল। আর এতেই উঠে আসে তারেকের কোটি কোটি টাকা খরচের আসল চিত্র।

এর আগে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি লন্ডনের অভিজাত এক ক্যাসিনো ও ডান্সক্লাবে অবস্থান করা তারেক রহমানের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লন্ডন বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, সপ্তাহে তিন-চার দিন রাতভর ক্লাবে থাকেন তারেক রহমান। সেখানে জুয়া খেলে সময় কাটান। জুয়ার বোর্ডে বাংলাদেশের টাকায় মাসে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা হারেন। তবে তার টাকা আছে, টাকা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –