• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

পোল্ট্রি-ডেইরি শিল্পের সুরক্ষায় নীতিমালা তৈরি করছে সরকার

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০  

পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের সুরক্ষায় সরকার নীতিমালা তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান। 

ওই সভায় মন্ত্রী অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) ও বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েন্টস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফিটা)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। 

মন্ত্রী বলেন, পোল্ট্রি-ডেইরি শিল্পের সুরক্ষায় নীতিমালা তৈরি করছে সরকার। নীতিমালার মাধ্যমে দুই শিল্পকে সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া হবে। শিল্পগুলোর উন্নয়নে সাধ্যমতো সবকিছু করা হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে দেশীয় অনেক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কঠিন সময়ে  বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানুষকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা, মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানো এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।

আহকাব ও বাফিটা’র প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা ব্যবসা করুন। কিন্তু দেশের বাজার ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খাদ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখাসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। যাতে সরকারকে বাজার মনিটরিং করতে না হয়। পারস্পরিক স্বার্থে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো। তবে আপনাদেরও সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

সভায় মন্ত্রীকে পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খাদ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে আশ্বস্ত করেন আহকাব ও বাফিটা’র প্রতিনিধিরা।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, আহকাব’র সভাপতি ডা. এম নজরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সায়েদুল হক খান, মো. অনোয়ার হোসন ও মো. মোশারফ হোসেন চৌধুরী, বাফিটা’র সভাপতি সুধীর চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি এ এম আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. হেলাল উদ্দিন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –