• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

প্রথমবারের মত বোচাগঞ্জে চা চাষে সাফল্য

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

দিনাজপুর বোচাগঞ্জে এবারই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ হয়েছে। আর প্রথমবারই সাফল্য পেয়েছেন উদ্যোক্তা ফজলে রাব্বী। এর আগে, বীরগঞ্জ ,খানসামা, নবাবগঞ্জ উপজেলাইয় সমতল ভূমিতে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ হয়।

হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুর অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত থাকায় চায়েড় উৎপাদন ভালো হয়। আগামীতে চা চাষও বদলে দিতে পারে দিনাজপুরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। চা চাষ এ অঞ্চলে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
বোচাগঞ্জের উদ্যোক্তা ফজলে রাব্বী সাড়ে তিন বছর আগে নিজস্ব জমিতে চা চাষ শুরু করেন। এখন সেই জমি সবুজ চা পাতায় ভরে গেছে। তার চা বাগান দেখে এরই মধ্যে কয়েকজন চা চাষ শুরু করেছেন। এছাড়া স্থানীয় অনেকেই চা বাগান করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তারা ফজলে রাব্বীর চা বাগান পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।

ফজলে রাব্বী জানান, সাড়ে ৩ বছর আগে পঞ্চগড় থেকে চা চারা এনে নিজস্ব জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করেন। ৩ একর (৯ বিঘা) জমিতে প্রায় ১৮ হাজার চা গাছ আছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। গত ২ বছর ধরে চা পাতা বিক্রি করছেন রাব্বী। বছরে কমপক্ষে ৮ বার চা পাতা বিক্রি করা যায় এবং প্রতিবারই চা পাতার উৎপাদন বাড়ে।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে ৪৫-৫০ দিন পর পর চা পাতা বিক্রি করেন। একটি চা কোম্পানি বাগানে এসে চা পাতা নিয়ে যায়। প্রতি কেজি চা পাতা ১৬-২৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকায়। গত এপ্রিলে ২ হাজার ২০০ কেজি চা পাতা বিক্রি করেছেন রাব্বী। আগামী সপ্তাহেও প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কেজি চা পাতা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরিফ আফজাল জানান, কৃষি উদ্যোক্তা ফজলে রাব্বী প্রথম বোচাগঞ্জ উপজেলায় চা বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বর্তমান তিনি সফল চা চাষি। তাকে দেখে এরই মধ্যে আরেকজন এক একর জমিতে চা চাষ শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক পরিদর্শন ও পরামর্শ দিচ্ছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –