• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ফুলবাড়ীতে শ্বশুরের সম্পত্তির লোভে শ্যালককে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২০  

শ্বশুরের সম্পত্তির লোভের দুই বছরের শিশু শ্যালককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মামলা করেছেন শ্বশুর মো. বাবুল মণ্ডল।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা পৌর এলাকার কাঁটাবাড়ী গ্রামের জামাল খাঁনের ছেলে সজল খাঁন, সজল খাঁনের পিতা জামাল খাঁন, জামাল খাঁনের স্ত্রী মোছা. শাহানা বেগম ও পশ্চিম গৌরীপাড়া (নিমতলা মোড়) গ্রামের মো: আরিফ খাঁনের স্ত্রী মোছা. ছালমা বেগম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাবুল মণ্ডলের মেয়ে নিসাত তাছনিমের স্বামী সজল খাঁন দীর্ঘদিন থেকে শ্বশুরের সম্পত্তি নিসাতের নামে লিখে দেয়ার জন্য শ্বশুর বাবুল মণ্ডলকে বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু এতে বাবুল হোসেন কোনো কর্ণপাত না করায় সে বিভিন্নভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষতিসাধনের হুমকি দিয়ে আসছিল। 

এরমধ্যে দীর্ঘ ১৮ বছর পর বাবুল মণ্ডলের ছেলে সন্তান হওয়ার কারণে শ্বশুরের সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা থেকে সজল খাঁন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। 

গত ৩১ অক্টোবর শ্বশুরকে নিজ বাড়িতে দাওয়াত দেয়। শ্বশুর বাবুল মণ্ডল তার একমাত্র ছেলে সোয়াতকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যান। এ সময় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সজল খাঁন শ্যালক সোয়াতকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের উত্তর সুজাপুর গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে মুন্না ইসলাম ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠের পাশের নির্জন এলাকায় শিশুর চিৎকারসহ কান্নাকাটি শুনতে পান। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচ্চার কি হয়েছে জানতে চাওয়া মাত্র শিশু সোয়াতকে ফেলে সজল খাঁন পালিয়ে যায়।

পরে মুন্না ইসলাম শিশু সোয়াতকে উদ্ধার করে সজল খাঁনের স্ত্রীকে ঘটনা জানায়। ঘটনা জানতে পেরে বাবুল মণ্ডল তার শিশুপুত্র সোয়াতকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। শিশুটির শরীরের বেশিরভাগ অংশেই মারপিট, দাঁত দিয়ে কামড়ানোসহ সিগারেটের ছ্যাকা দেয়ার দাগ পুরো শরীরে ফুটে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে বাবুল মণ্ডল সজল খাঁনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরও তারা কোনো কর্ণপাত না করে ভবিষ্যতে সময় ও সুযোগ পেলে সোয়াতকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

ফুলবাড়ি থানার দায়িত্ব থাকা ওসি (তদন্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বর্বরোচিত। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আরিফুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –