• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড- দেশকে হত্যার সুগভীর ষড়যন্ত্র ছিল’

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড একটি দেশকে হত্যা করার সুগভীর ষড়যন্ত্র ছিল।

শনিবার দিনাজপুরের বিরলের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কানাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ বলেন, শিক্ষা ছাড়া একটি দেশ কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। সেই উপলব্ধি থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর একটি শাসনতন্ত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কি হবে- সেজন‍্য বিখ্যাত বিজ্ঞানী ড. কুদরত ই খুদাকে দিয়ে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। এই শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি, আলোর মুখ দেখেনি। কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আজকের শিশুরা ও ছাত্ররা সেই নির্মমতার কথা হয়তো সেভাবে জানে না। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড একজন ব্যক্তি কিংবা একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়। এই হত্যাকাণ্ড একটি দেশকে হত্যা করার সুগভীর ষড়যন্ত্র ছিল।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযদ্ধ ছিল আমাদের গর্বের ও অহংকারের। এই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিলাম। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে, সেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ একটি সোনার বাংলা হবে, যে বাংলাদেশ সকলে মিলে একটি মানসম্পন্ন জাতিতে পরিণত হবে। বিশ্ব ভূখণ্ডে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, এটাই তো ছিল আমাদের স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে আমরা দেখলাম একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের গণহত্যা সংঘটিত করেছে, মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, তাদের বিচারের জন্য যে দালাল আইন করা হয়েছিল সেই দালাল আইন বাতিল করে দেওয়া হলো এবং ঐ দালালদের, অপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হলো। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর খুনিদের বিচার করা যাবে না সংবিধানের মধ্যে ইনডেমনিটি অ্যাক্ট ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। এর মধ্য দিয়ে একটি গর্বিত জাতির গর্বিত যে ইতিহাস সেই ইতিহাসকে ভুলণ্ঠিত করা হলো, ক্ষমতায় কুক্ষিগত করে থাকার জন্য। তরুণদের হাতে মাদক এবং অস্ত্র তুলে দিয়ে বাংলাদেশের সব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দেওয়া হলো। আমাদের মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হলো, অর্থ তুলে দেওয়া হলো। এভাবে বাংলাদেশের তরুণ এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেওয়া হলো। এই মাদক এবং অস্ত্রের রূপকার হলো বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান।

রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম শাহিনুর ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. আফছানা কাওছার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুজন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সুবজার সিদ্দিক সাগর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুকিল চন্দ্র রায়। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –