• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বন্দি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান তালেবানের

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২১  

৭ হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়ার শর্তে তিন মাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তালেবান। আফগান সরকারের আলোচক নাদের নাদেরি এ প্রস্তাবের তথ্য জানান। তিনি জানিয়েছিলেন, তালেবান নেতাদের দাবি, তাদের নাম জতিসংঘের কালো তালিকা থেকেও বাদ দিতে হবে। তবে নাদের নাদেরির এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান।

তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেন, তারা (তালেবান) কয়েক মাস আগে সহিংসতা হ্রাস করার প্রস্তাব করেছিল। সুহেল শাহীন আরো বলেন, চার মাস আগে তারা সহিংসতা হ্রাস করার প্রস্তাব করেছিল। এর অধীনে তারা জেলা ও প্রদেশগুলির কেন্দ্র গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছিল। তবে "এটি কাবুল প্রশাসন গ্রহণ করেনি"। "এখন, টেবিলে নতুন কিছু নেই," তিনি বলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি এবং অন্যান্য সংবাদ সংস্থাগুলির প্রতিবেদনে বলা হয় যে তালেবানরা বন্দি মুক্তির বিনিময়ে তিন মাসের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেছে। তবে নাদেরি পরে বিবিসিকে বলেন যে "এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নেই এবং এটি একটি গুজব বলে মনেকরা হচ্ছে।

গত বছর ৫ হাজার তালেবান বন্দি মুক্তি পেয়েছিল এবং মনে করা হচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই যুদ্ধের ময়দানে আবার ফিরে এসে সহিংসতা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আফগান সেনারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে একটি বর্ডার ক্রসিং তারা তালেবানের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। কিন্তু তালেবানরা এই দাবি অস্বীকার করছে।

গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কন্দাহারের কাছে স্পিন বোলডাক ক্রসিংয়ের ওপর তালেবানের একটি সাদা পতাকা উড়ানো হচ্ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সদস্যরা ২০ বছরের যুদ্ধের পর অবশেষে আফগানিস্তান ত্যাগ করছে। যে তালেবানকে পরাজিত করতে তারা দেশটিতে এসেছিল সেই তালেবানই এখন দ্রুতগতিতে দেশটির বিভিন্ন এলাকা দখল করে নিচ্ছে। এই যুদ্ধ নানাভাবে আফগানিস্তানকে বদলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে তাই এখন দেখার অপেক্ষা।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –