বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় মুসলিম নাবিকের মানচিত্র
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২১
উসমানি খেলাফত পতনের পর তুরস্কের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে তোপাকাপি জাদুঘরের গ্রন্থাগারে জার্মান প্রাচ্যবিদ গুস্তাভ অ্যাডলফ ডেইসম্যান (Gustav Adolf Deissmann) কর্মরত ছিলেন। ১৯২৯ সালের ৯ অক্টোবর গ্রন্থাগারের পুরনো বিষয় বিন্যাসকালে হরিণের চামড়ায় আঁকা মানচিত্রের ওপর তাঁর চোখ পড়ে। ষষ্ঠদশ শতাব্দীর প্রাচীন মানচিত্রে আমেরিকার অবস্থান দেখে তিনি বেশ অবাক হন। পিরি রেইস নাবিকের আঁকা মানচিত্রে ৯১৮ হিজরি (১৫১৩ খ্রি.) লেখা ছিল। আধুনিককালে পাওয়া প্রাচীন মানচিত্রগুলোর মধ্যে শুধু পিরি রেইসের মানচিত্রে আমেরিকার অবস্থান পাওয়া যায়। ক্রিস্টফার কলম্বাসের হারানো মানচিত্রের ধারণা পাওয়া যায় পিরি রেইসের মানচিত্রে।
পিরি রেইসের পরিচিতি : আহমদ মহিউদ্দিন পিরি রেইস আনুমানিক ১৪৬৫ সালে ইস্তাম্বুল নগরীর পশ্চিমাঞ্চল গ্যালিপোলিতে জন্মগ্রহণ করেন। মারমারা সাগরের উপকূলবর্তী এই শহরটি অটোমান সাম্রাজ্যের প্রধান নৌ ঘাঁটি ছিল। অটোমান সাম্রাজ্যের শায়খুল ইসলাম আহমদ বিন কামাল পাশা বলেন, ‘গ্যাপোলির অধিবাসীরা কুমিরের মতো নিজেদের পুরো জীবন সমুদ্রে অতিবাহিত করে। নৌ তরীগুলো যেন তাদের পরিবার। সাগর ও জাহাজের মধ্যে তারা দিন-রাত অতিবাহিত করে।’
আঞ্চলিক ঐতিহ্য অনুসারে পিরি রেইস পড়াশোনা শেষ করে চাচার সঙ্গে নৌযাত্রা শুরু করেন। রেইসের চাচা কামাল রেইস অটোমান নৌবাহিনীর নাবিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাচার সঙ্গে ভূমধ্যসাগরে অটোমান নৌবাহিনীর সদস্য হয়ে অনেক দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর সুলতানের আমন্ত্রণে নাবিক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১৫১০ সালে কামাল রেইস ভূমধ্য সাগরে মিসর যাত্রাকালে জাহাজ ডুবে মারা যান।
এরপর মহিউদ্দিন পিরি রেইস অটোমান সুয়েজ নৌবহরের প্রধান নাবিক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। চাচার মৃত্যুর পর পিরি রেইস অবসর নিয়ে নিজ এলাকা গ্যালিপোলিতে আসেন। ১৫১৩ সালে এখানেই প্রথমবার পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করেন। ১৫১৭ সালে পিরি মানচিত্রটি অটোমান সুলতান প্রথম সেলিমের কাছে পেশ করেন। মানচিত্র তৈরিতে পিরি রেইস ২০টি আঞ্চলিক মানচিত্রের ওপর নির্ভর করেছেন। আরবদের তৈরি ভারতবর্ষের মানচিত্র, পর্তুগিজদের তৈরি ভারত-চীনের চারটি মানচিত্র, কলম্বাসের তৈরি উপকূল ও দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মানচিত্রের সমন্বয়ে প্রথম মানচিত্রটি তিনি তৈরি করেন।
সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ রচনা : নাবিকজীবনে ভ্রমণ করা বিভিন্ন জায়গার তথ্য, চার্ট, নকশা করা মানচিত্র সংগ্রহ করেন। বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক বর্ণনা ও সমুদ্রবিষয়ক অনেক তথ্য নিয়ে ১৫১৩ সালে তিনি ‘কিতাব ই বাহরিয়া’ গ্রন্থ রচনা করেন। ১৫২৬ সালে গ্রন্থটি পুনঃসম্পাদনা করে তা সুলতান সোলায়মানের কাছে পেশ করেন। ১৫২৮ সালে দ্বিতীয়বার মানচিত্র অঙ্কন করে সুলতানের কাছে উপস্থাপন করেন। দ্বিতীয় মানচিত্রের এক-ষষ্ঠাংশ পাওয়া গেছে। পিরি রেইসের আঁকা দ্বিতীয় সমৃদ্ধ মানচিত্র দেখে গবেষকরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। তবে মানচিত্রের অনেক অংশ অনাবিষ্কৃত হওয়ায় গবেষকরা দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিশ্বের সব ইতিহাসবিদের কাছে সর্বশেষ আবিষ্কৃত পিরি রেইসের মানচিত্র খুবই গুরুত্ব বহন করে। কারণ আধুনিককালে পাওয়া প্রাচীন মানচিত্রগুলোর মধ্যে শুধু পিরি রেইসের মানচিত্রে আমেরিকার অবস্থান পাওয়া যায়। আর ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মানচিত্রটি হারিয়ে যায়, যা আর কোথাও পাওয়া যায়নি। আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের মানচিত্র আঁকার ক্ষেত্রে পিরি রেইস কলম্বাসের মানচিত্রের সহায়তা নেন বলে ধারণা করা হয়।
পিরি রেইসের মানচিত্রের ৫০০ বছর পূর্তি : পিরি রেইসের আঁকা মানচিত্রটি নথি ও মানচিত্রবিষয়ক বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৩ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো পিরি রেইসের আঁকা মানচিত্রের ৫০০ বছর পূর্তি উদযাপন করে। ইস্তাম্বুলের মিমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত তোফ্যান আমিরি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘পিরি রেইস ও বিশ্ব মানচিত্র ১৫১৩ : ৫০০ বছরের অস্পষ্টতা’ নামে একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
মৃত্যু : ১৫৫৪ সালে ৯০ বছর বয়সে পিরি রেইস লোহিত সাগর ও আরব সাগরে জাহাজের নাবিক ছিলেন। এ সময় পর্তুগিজদের সঙ্গে এক যুদ্ধে পরাজিত হলে রেইসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অটোমান আদালতে অভিযোগ করা হয়। যুদ্ধ থেকে রেইস মিসর এলে স্থানীয় লোকেরা সুলতানের কাছে অভিযোগ করে যে রেইস নিজের প্রাণ ও সম্পদ বাঁচাতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেছে। মূলত তিনি নিজে ও তাঁর চাচা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ থেকে তা পেয়েছিলেন। অবশেষে সুলতান তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তোপাকাপি জাদুঘরে রেখে দেন।
তুর্কি লিরায় মানচিত্রের ছাপ : পিরি রেইসের মানচিত্রটি বর্তমানে তোপাকাপি জাদুঘরে আছে। সাধারণত দর্শকদের জন্য প্রদর্শনীতে তা রাখা হয় না। তবে বিভিন্ন সময় তুরস্কের মুদ্রায় মানচিত্রটির ছবি ছাপা হয়েছিল। ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মানচিত্রের প্রতিকৃতি ছাপা হয়।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে বিশেষ অভিযানের প্রস্তাব, বিশেষজ্ঞদের ‘না’
- ল্যাপটপে কুলিং সিস্টেম কেন জরুরি?
- মিষ্টি না খেয়েও বাড়ছে ব্লাড সুগার? জেনে নিন কারণ
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ব্রাজিল
- গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আরো একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১১
- ইইউতে জিএসপি সুবিধা বাড়াতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
- সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- সেহেরিতে খেতে পারেন যেসব খাবার
- সৌম্যর কনকাশন নিয়ে শ্রীলংকার সন্দেহ
- জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অরুন্ধতী
- কাজের অজুহাতে রোজা ভাঙা যাবে?
- বিএনপির কাজই ষড়যন্ত্র করা: রেলমন্ত্রী
- গাজা যুদ্ধে ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল: ইইউ
- আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেওয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেসের কাছে ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরেছেন পলক
- দুপুরের মধ্যে ৪ অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়-বৃষ্টি
- আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী
- হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
- হিলিতে পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা
- দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির ১৩ নেতা আটক
- ফুুলবাড়ীতে বাল্যবিবাহ,যৌতুক ও ইভটিজিং প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা
- পেঁয়াজের দাম কমছে
- সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব
- দিনাজপুর সদর হাসপাতাল ৫০০ শয্যায় উন্নীত হবে: হুইপ ইকবালুর রহিম
- আসন্ন বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে দুঃসংবাদ
- জনপ্রিয় মার্কিন র্যাপার লিল জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
- রমজানে একাধিকবার ওমরাহ নিষিদ্ধ করল সৌদি
- রোজা রাখার ৫ উপকারিতা
- অভিযান বন্ধ না করলে দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছেন ইলন মাস্ক
- ধুলামুক্ত রাস্তা চায় হিলিবাসী
- ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব ও কর্তব্য
- ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে’
- বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ জেগে উঠেছিল: মেয়র আতিক
- ভারত থেকে ১৩ দিনে ২৮৫ টন সজনে ডাঁটা আমদানি
- দিনাজপুরে ১০ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা
- জানা গেলো ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ
- জনবান্ধব ভূমি সংস্কারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ভূমিমন্ত্রী
- ভুটানকে ৬-০ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা
- হিলি রেল স্টেশন পরিদর্শনে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- ৭১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অধিদফতর: ক্রীড়ামন্ত্রী
- কাজের অজুহাতে রোজা ভাঙা যাবে?
- বীরগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন
- চ্যাম্পিয়ন শিরোপা যাদের উৎসর্গ করলেন তামিম
- খাস জমি ইজারা দেওয়ার বিষয়ে জিরো টলারেন্স: ভূমিমন্ত্রী
- সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল রংপুর
- বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন দুই কোচ চূড়ান্ত