• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২১  

কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্তানের বিরুদ্ধে। অসহায় ওই বৃদ্ধা এক মাস ধরে নিজ ভিটে-মাটি ছেড়ে মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ঘোলদারপাড় গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন প্রায় দুই বছর আগে মারা গেছেন। এরপর থেকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতার টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে আসছে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রাবেয়া বেওয়া।

কয়েকমাস থেকে ছেলে আতাউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার পুরো টাকা মায়ের কাছে দাবি করে আসছেন। কিন্তু রাবেয়া বেওয়া সম্মানি ভাতার টাকা সংসার চালানোসহ তার চার সন্তানকে বণ্টন করে দিতেন। এতে আপত্তি তুলে ছেলে আতাউর রহমান ও তার স্ত্রী লিপি বেগম তাকে প্রায় সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।

এ ঘটনার জের ধরে গত ৩০ জানুয়ারি ছেলে ও তার স্ত্রী মিলে রাবেয়া বেওয়াকে এক কাপড়ে বসতঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে বর্তমানে মেয়ে গোলাপী বেগমের বাড়ি গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমোহনে আশ্রয় নিয়েছেন।

রাবেয়া বেওয়া বলেন, ছেলে আতাউর রহমানকে সম্মানি ভাতার পুরো টাকা না দেয়ায় আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি বাড়িতে ফিরে গেলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে। এক মাস অপেক্ষা করার পরও এ ব্যাপারে কোথাও প্রতিকার না পেয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি।

তিনি বলেন, আমার স্বামীর ভিটায় জীবনের শেষ দিনগুলো পার করতে চাই এবং ছেলে ও ছেলের বউয়ের এই নির্মমতার বিচার চাই।

এ বিষয়ে আতাউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে বঞ্চিত করে জমি জমা টাকা পয়সা অন্য তিন সন্তানকে দেন। আমি এর প্রতিবাদ করায় তিনি বাড়ি থেকে চলে গেছেন। মায়ের ঘরে তালা ঝুলানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বাড়িতে নেই, ঘরে জিনিসপত্র রয়েছে, তাই তালা লাগিয়ে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি পারিবারিক ব্যাপার। তাই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দ্রুতই সমাধান করে দেয়া হবে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –