বীরগঞ্জে কেঁচো চাষে বদলে গেছে মানিকের জীবন
প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২৩
বীরগঞ্জে কেঁচো চাষে বদলে গেছে মানিকের জীবন
জমির উর্বরতা আর ফসলের রোগ বালাই কম হয় এবং ভাল ফলন হয় কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্টে। আর এই কেঁচো সার তৈরি করে ব্যবহার ও বিক্রিতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পল্লীর শিয়ালখেদা গ্রামের মানিক বর্মা। শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে এ সার তৈরিতে ফ্রিতে প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন তিনি।
গত ২ বছরে প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। টবে ২৫০ গ্রাম কেঁচো সার থেকে গত ১৫ বছরে বেড়ে এখন নিজবাড়ী সংলগ্ন ৩৩ শতক জমিতে প্রতি মাসে ৫০ টন কেঁচো সার তৈরি করছেন। কেঁচো ও সার দুটোই বিক্রি করেন তিনি। কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকে বেকার যুবকের। জমির উর্বরতা রক্ষায় কেঁচো সার ব্যবহার কৃষকের ভরাসার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অনেকের কাছেই ‘কেঁচো মানিক’ বলে পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি।
নিজ বাড়ি-সংলগ্ন ৩৩ শতক জমিতে বড় টিনের ছাউনি। ছাউনির নিচে কেঁচো সার প্রস্তুত হচ্ছে। মেঝেতে বিছানো গোবর। আটজন শ্রমিক গোবর শুকাচ্ছেন। আবার কেউ শুকনা গোবর বস্তায় ভরে ওজন করছেন। ১০ কেজি থেকে ১ টন পর্যন্ত সার কিনছেন কৃষক। তার এই সার স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। কেঁচো প্রতি কেজি ২০০০ টাকা এবং সার প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। কেঁচো সার বিক্রি করেই পাকা বাড়ি ছাড়াও প্রতি মাসে খরচ বাদে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি। এখন তিনি শতাধিক গরুর খামার গড়তে চেষ্ঠা করছেন। তিনি এখন অনেক বেকার যুবকের কাছে অনুকরণীয় হয়েছেন।
মানিক বর্মা ছোটবেলা থেকে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে যুক্ত ছিলেন। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কেঁচো সার তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। পরে বাসায় কয়েকটি টবে কেঁচো আর গোবরের মিশ্রণে সার তৈরি শুরু করেন। পরে বাড়ি সংলগ্ন ৩৩ শতক জমিতে গড়ে তোলেন ‘সবুজ স্বপ্ন অ্যাগ্রো ফার্ম’। আটজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন খামারে। প্রতি মাসে উৎপাদিত হয় প্রায় ৫০ টন কেঁচো সার।
মানিক বর্মা জানান, প্রতি টন সার প্রস্তুত করতে ১০ কেজি কেঁচো দরকার। ৩০ দিন পর থেকে পাওয়া যায় ৭৫০ কেজি সার। সাধারণত কেঁচো বাঁচে ৯৫ দিন। এ সময়ে দুবার গড়ে চারটি করে ডিম দেয়। ফলদ গাছ বা উঁচু জমির ফসলে পরপর তিনবার এ সার ব্যবহারে ডিম থেকে উৎপন্ন কেঁচো ওই স্থানে নিজে থেকেই সার উৎপাদন করতে থাকে। ফলে পরবর্তী দু-তিনটি ফসলে সার ব্যবহার না করলেও চলে। জমিতে কেঁচো সার ব্যবহারে বিঘা প্রতি কমপক্ষে ২০০০ টাকা সাশ্রয় হয়। এ সারে গাছের অত্যাবশ্যকীয় ১৬টি খাদ্য উপাদানের ১০টিই বিদ্যমান।
কয়েকজন কৃষক জানায়, এ সার ব্যবহারের ফলে জমিতে রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করতে হচ্ছে। মানিকের কাছে নিয়মিত সার কেনেন মুসলিম পাটোয়ারি। এ সার ব্যবহারে ফসলের রোগবালাই ও পোকামাকড় কম হয়।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরে দুই শতাধিক উদ্যোক্তা কেঁচো চাষের যুক্ত রয়েছেন। গত অর্থবছরে জেলায় কেঁচো সারের উৎপাদন ছিল ২ হাজার ১৬৫ মেট্রিক টন জানা যায়।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- ভেজাল খাদ্যপণ্য সরবরাহ, বিরামপুরে ২ জনের কারাদণ্ড
- বিরামপুরে এক পা বিশিষ্ট্য সন্তানের জন্ম
- ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- শখের ড্রাগন বাগানে স্বাবলম্বী জহুরুল ইসলাম
- চিরিরবন্দরে সেচের কাজে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে সেঁউতি-দোন
- পার্বতীপুরে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ
- বীরগঞ্জে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ দুই নারী আটক
- স্বপ্নজয়ী মা নাজমা রহিমের দাফন সম্পন্ন
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে
- ‘ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে’
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছেন ইলন মাস্ক
- ধুলামুক্ত রাস্তা চায় হিলিবাসী
- দিনাজপুরে ১০ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে’
- বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ জেগে উঠেছিল: মেয়র আতিক
- হাবিপ্রবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
- জানা গেলো ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ
- ভুটানকে ৬-০ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- অক্টোবরে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন
- হিলি রেল স্টেশন পরিদর্শনে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- ৭১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অধিদফতর: ক্রীড়ামন্ত্রী
- কাজের অজুহাতে রোজা ভাঙা যাবে?
- বীরগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন
- চ্যাম্পিয়ন শিরোপা যাদের উৎসর্গ করলেন তামিম
- সৌম্যর কনকাশন নিয়ে শ্রীলংকার সন্দেহ
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ