• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২১  

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিশেষ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে এনে নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা লেনদেনের ঘটনায় এক সেকশন অফিসার ও এক কম্পিউটার অপারেটরকে সাময়িক এবং আরেক কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিশেষ প্রকল্পে দুর্নীতির ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার তার (উপাচার্য) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। কিন্তু তিনি উল্টো আমাকে বরখাস্ত করলেন। আমি এ ঘটনায় আইনের দারস্থ হবো বলে জানান তিনি।

রোববার ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসে অনুষ্ঠিত ৭৭তম বিশেষ সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে সিন্ডিকেটের এক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলীর জাহাঙ্গীর আলমকে ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার ডকুমেন্টেস ও অন্যান্য কাগজপত্রে অনিয়মের অভিযোগ এনে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অপরদিকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে চাকরি দেয়ার নামে টাকা লেনদেনের ঘটনায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ, বঙ্গবন্ধু হলের কম্পিউটার অপারেটর শেরে জামান সম্রাটকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া একই ঘটনায় মাস্টাররোল কর্মচারী গুলশান আহমেদ শাওনকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। 

এর আগে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কর্মকর্তা পদে জাল নিয়োগপত্র দেখিয়ে এক চাকরি প্রার্থীর কাছে ১৩ লাখ টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ, বঙ্গবন্ধু হলের কম্পিউটার অপারেটর শেরে জামান সম্রাট এবং মাস্টাররোল কর্মচারী গুলশান আহমেদ শাওনকে দেখা যায় টাকা লেনদেনের ঘটনায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে বরখাস্তের সুপারিশ করে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –