• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

মশারির ভেতর শুয়ে-বসে ভারতীয় সাংসদদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২২  

ভারতের সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির সামনে শুয়ে-বসে ৫০ ঘণ্টা ধরে অবস্থান-বিক্ষোভ করেছেন বিরোধী সাংসদরা। এরকম দৃশ্য সম্ভবত ভারতীয় সংসদ ভবনের চত্বরে আগে কখনও দেখা যায়নি। সংসদ ভবনের আইকনিক বিশাল গান্ধী মূর্তির সামনে সিমেন্টের মেঝের উপর চাদর, সতরঞ্চি পাতা। তার উপর শুয়ে আছেন সাংসদরা। মশারির ঘেরাটোপের মধ্যে, যাতে মশা না কামড়ায়। শুয়ে শুয়ে তারা মোবাইল দেখছেন। কখনো বা উঠে বসে গল্প করছেন। বই পড়ছেন।

ডিএমকে সাংসদের বাড়ি থেকে মধ্যাহ্নভোজ হিসাবে ইডলি-সম্বর আসছে তো নৈশভোজের ব্যবস্থা করছে তৃণমূল ফিস ফ্রাই, তন্দুরি চিকেন দিয়ে। এর মধ্যেই বৃষ্টি নেমে যাওয়ায় সাংসদরা চাদর, বালিশ, মশারি নিয়ে ছুটেছেন সংসদের মূল প্রবেশদ্বারের সামনের পোর্টিকোতে। সারারাত তারা সেখানেই থাকলেন।

এই বিরোধী সাংসদদের মধ্যে আপ, তৃণমূল, ডিএমকে, টিআরএস এবং বামেরা ছিলেন। কংগ্রেস সাংসদরা সেখানে গিয়ে তাদের নৈতিক সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। টানা দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে এই ভাবে বিক্ষোভ দেখানোর পর শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা একটা নাগাদ তাদের বিক্ষোভ শেষ হয়।

বিরোধী সাংসদদের দাবি, তারা লোকসভা ও রাজ্যসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি জানাচ্ছিলেন। তার জেরেই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবিতে তাদের এই বিক্ষোভ।

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার এক নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছিলাম, রাজ্যসভার ২৩ জন ও লোকসভার ৪ জন সাংসদের ওপর থেকে সাময়িক বরখাস্ত তুলে নেয়া হোক। কিন্তু সরকার সে কথা শোনেনি।’

আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘গুজরাটে ২৭ বছর ধরে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। সেখানে মদ বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ। তারপরও বিষমদ খেয়ে সেখানে অনেক মানুষ মারা গেছে। তাহলে কেন মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না? আমি বিষয়টি রাজ্যসভায় তুলতে চেয়েছিলাম। এটাই আমার অপরাধ।’

বিজেপি দাবি করেছে, বিরোধী সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্পিকার ও চেয়ারম্যান, ডেপুটি চেয়ারম্যান বাধ্য হয়েছেন। সঞ্জয় সিং চেয়ারম্যানের আসনের দিকে কাগজ ছুড়েছিলেন। বাকিরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো নিষেধ। তারা সেই কাজটিই করেছেন। প্রথম দিন থেকেই তারা সংসদের অধিবেশন অচল করার কৌশল নিয়েছেন। তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিলেন বলেই শাস্তি পেয়েছেন।

শুক্রবার বিক্ষোভ শেষে বিরোধী সাংসদরা গান্ধীজির মূর্তিতে ফুলের মালা দেন। তারপর সংসদ ভবনের পাশে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন তারা। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দেন এ সময়।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –