যেভাবে গুগলে চাকরি পাবেন, জানালেন নীলফামারীর সোহান
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২
নীলফামারীর সোহান এখন চাকরি করছেন গুগলে। তার পুরো নাম আল নাসিরুল্লাহ সিদ্দিকী সোহান। ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন তিনি। ২০২০ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করতে পাড়ি জমান জার্মানিতে।
জার্মানিতে প্রথম সেমিস্টারে পড়াকালীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন ও প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গুগলে চাকরির আবেদন করেন সোহান। এরপর পরীক্ষার সব ধাপ পেরিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর গুগলের পোল্যান্ড অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (সাইট রিলায়েবিলিটি ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে যোগ দেন এ মেধাবী।
সোহান নীলফামারীর ডোমার পৌর শহরের পল্টনপাড়া এলাকার হামিদার রহমান ও উম্মে আয়েশা দম্পতির ছেলে। বাবা ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা। মা গৃহিণী।
২০১১ সালে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন সোহান। রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০১৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে ২০১৮ স্নাতক শেষ করেন তিনি। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে বড় ভাই শাহেদ শাহরিয়ারের সহযোগিতা পেয়েছেন। শাহেদ বর্তমানে গুগলের ডাবলিন শাখায় কর্মরত।
স্নাতক শেষ করে অরবিটেকস বাংলাদেশে ১১ মাস ও স্যামসাং কোম্পানিতে এক বছরের মতো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। এরপর ২০২০ সালে মাস্টার্স করতে জার্মানিতে যান। সেখানে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ডর্টমুন্ডে ডেটা সায়েন্সে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। জার্মানিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানিতে খণ্ডকালীন চাকরির খোঁজ করছিলেন সোহান। এরপর খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবে গুগলে চাকরির আবেদন করেন। এরপর বড় ভায়ের সহযোগিতা ও নির্দেশনায় নিজেকে প্রস্তুত করেন।
সোহান বলেন, আমার এ জার্নিতে ফাইন্যান্সিয়াল কোনো প্রতিবন্ধকতা তেমন ছিল না। ধনী কোনো পরিবারের সন্তান না হলেও সাধ্যের মধ্যে সবসময় সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বাবা। এইচএসসি পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ঢাকায় প্রথমে একটু ধাক্কা খেয়েছি। মানিয়ে নিতে খুব কষ্ট হয়েছে। ঢাকায় প্রথম দেড় বছরের বেশিরভাগ সময় আমি অসুস্থ থাকতাম। এরপর ধীরে ধীরে ভালোর পথে গেছে। মাস্টার্স করার জন্য পাড়ি জমাই জার্মানিতে। সেখানে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ডর্টমুন্ডে ডেটা সায়েন্সের ছাত্র ছিলাম। প্রথম সেমিস্টারে বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করা শুরু করি। এরপর গুগলে আবেদন করি। শেষমেশ অফার পাই গুগল থেকে। আমি মূলত গুগল পোল্যান্ডে অফার পাই।
গুগলে চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, টি বেশ দীর্ঘ এবং জটিল। গুগলের ক্যারিয়ার সাইট রয়েছে। সেখানে প্রত্যেকটা পজিশনের জন্য পোস্ট করা থাকে। সেই পোস্ট থেকে ডিরেক্ট আবেদন করা যায়। আরেকটা হচ্ছে পরিচিত কেউ থাকলে তার রেফারেন্স। যেহেতু অনেকেরই স্বপ্ন থাকে গুগলে চাকরি করা, তাই এখানে প্রতিযোগিতা ঢের বেশি। অন্যান্য চাকরির মতো গুগলে চাকরির প্রথম শর্ত হলো জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়া। সিভি দেওয়ার পর যোগ্য মনে করলে গুগলের একজন রিক্রুটারের সঙ্গে ফোনে সাক্ষাৎকার হবে। এরপর সাক্ষাৎকার আশানুরূপ হলে ৪৫ মিনিটের একটা কোডিং রাউন্ডে অংশ নিতে হয়। এ কোডিং রাউন্ডের ফলাফল ইতিবাচক হলে শেষে ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ মেলে। এটাকে অনসাইড রাউন্ডও বলা হয়।
এসব সাক্ষাৎকার একসময় অফিসে গিয়ে দিতে হতো। করোনার পর এখন অনলাইনে হচ্ছে। ফাইনাল রাউন্ডে আমার চারটি কোডিং সাক্ষাৎকার হয়েছে। আরেকটি থাকে বিহ্যাভিয়্যারাল রাউন্ড। অনেকের ক্ষেত্রে আমি শুনেছি তিনটি কোডিং রাউন্ডও হয়। এরপর সব পরীক্ষার ফলাফল সমন্বয় করে পাঠানো হয় গুগলের চাকরিদাতা (হায়ারিং) কমিটিতে। তারাই চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই করেন।
গুগলে নিজের কাজ সম্পর্কে সোহান বলেন, আমি মূলত গুগলের ক্লাউডে কাজ করছি। গুগলের তো অনেক প্রোডাক্ট। বড় অংশের মানুষই মনে করে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে কাজ করি। আমি একজন সাইট রিলায়েবিলিটি ইঞ্জিনিয়ার। মেইন কাজ হচ্ছে যে প্রোডাক্টের জন্য সাইট রিলায়েবিলিটি ইঞ্জিনিয়ার সে প্রোডাক্ট যেন রানিং থাকে ঠিকঠাক মতো সেটি দেখা।
নতুন যারা টেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চায়, তাদের উদ্দেশে সোহান বলেন, গুগলসহ বিভিন্ন টেক জায়েন্ট কোম্পানিতে কাজ করতে চাইলে প্রব্লেম সলভিং, কোডিং স্কিল ও কমিউনিকেশনে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এজন্য নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে। বিশেষ করে সমস্যা সমাধানে পারদর্শী হয়ে উঠতে হবে। কোডিং সংক্রান্ত খুঁটিনাটি জানতে হবে। প্রচুর হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে। কোনো শর্টকাটের চিন্তা করা যাবে না। আরেকটা জিনিস হচ্ছে মুখস্থ বিদ্যার ওপর ফোকাস করা যাবে না। সবকিছু চিন্তা করে অ্যানালাইটিক্যাল মাধ্যমে আসতে হবে। সমস্যা সমাধানের চিন্তা থাকতে হবে।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- ভেজাল খাদ্যপণ্য সরবরাহ, বিরামপুরে ২ জনের কারাদণ্ড
- বিরামপুরে এক পা বিশিষ্ট্য সন্তানের জন্ম
- ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- শখের ড্রাগন বাগানে স্বাবলম্বী জহুরুল ইসলাম
- চিরিরবন্দরে সেচের কাজে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে সেঁউতি-দোন
- পার্বতীপুরে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ
- বীরগঞ্জে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ দুই নারী আটক
- স্বপ্নজয়ী মা নাজমা রহিমের দাফন সম্পন্ন
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে
- ‘ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে’
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছেন ইলন মাস্ক
- ধুলামুক্ত রাস্তা চায় হিলিবাসী
- দিনাজপুরে ১০ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে’
- বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ জেগে উঠেছিল: মেয়র আতিক
- হাবিপ্রবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
- জানা গেলো ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ
- ভুটানকে ৬-০ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- অক্টোবরে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন
- হিলি রেল স্টেশন পরিদর্শনে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- ৭১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অধিদফতর: ক্রীড়ামন্ত্রী
- কাজের অজুহাতে রোজা ভাঙা যাবে?
- বীরগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন
- চ্যাম্পিয়ন শিরোপা যাদের উৎসর্গ করলেন তামিম
- সৌম্যর কনকাশন নিয়ে শ্রীলংকার সন্দেহ
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ