• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনৈতিক দলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২  

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সামনে রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবশের কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার আজ রবিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সামনে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে।

তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। সরকারি ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে।’

পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। নগরবাসীর আস্থা অর্জনে আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ’

পুলিশের কাজ হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্যারেডের বিকল্প নেই। ফিজিক্যাল ফিটনেস এবং মাঠ পর্যায় দুই ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা থাকতে হবে। ’

পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে আজ সকালে মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনার প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠ ও পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট মাঠে প্যারেড করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দেন।

মাস্টার প্যারেডে ডিএমপি কমিশনার অভিবাদন গ্রহণ করেন। কমিশনার ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন করেন।

কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক  বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের জন্য অনেক কিছু করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বাহিনীকে অধুনিক ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী পুলিশের জন্য অনেক কিছু দিচ্ছেন, এর প্রতিদান হিসেবে দুই কোটি নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সবাইকে একটি টিম হয়ে সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে হবে। ’

প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়নি। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বুলেটটি ছোড়া হয় রাজারবাগের পুলিশের অস্ত্র থেকে। ওই প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন রাজারবাগের অনেক সাহসী বীর পুলিশ সদস্য। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ জীবন দিয়ে হলেও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে। ’

প্যারেডে ডিএমপি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –