• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রোজায় গর্ভবতী মায়েরা যা করবেন, যা করবেন না

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২২  

চলছে পবিত্র মাহে রমজান। এই মাসে প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সিয়াম পালন করেন। এসময় গর্ভবতী মায়েদের অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন এই ভেবে যে, গর্ভাবস্থায় রোজা রাখতে পারবেন কি না। সেই সঙ্গে এই নিয়ে চিন্তা করেন যে, রোজা রাখার ফলে মা ও গর্ভস্থ শিশুর ওপর প্রভাব পড়বে কি না।

এই বিষয়ে ঢাকার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের গাইনিকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোছা. ফারহানা তারান্নুম খান কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, এখন গ্রীষ্মকাল এবং প্রায় ১৪ ঘণ্টা আহার ও পানীয় ছাড়া থাকতে হচ্ছে। তাই এই সময়ে গর্ভবতীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ও শেষ তিন মাস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।

যেসব ক্ষেত্রে রোজা পরিহার করা ভালো

>> গর্ভবতী যদি অতিরিক্ত বমি করেন বা বমি বমি ভাবের কারণে খেতে না পেরে বেশি দুর্বল হয়ে পড়েন।

>> গর্ভবতী যদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনো জটিলতায় ভোগেন।

>> গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কমে যায় বা পানি শুকিয়ে যায়।

>> বাচ্চার ওজন কম থাকে।

রোজা রাখতে চাইলে যা করবেন

>> রোজার আগেই গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

>> ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করা।

>> পর্যাপ্ত পানি, শরবত, ফ্রেশ জুস, দই, চিড়া এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা।

>> প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করা। 

করণীয়

সাহরির সময় বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। এতে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা যাবে। রোজা রাখলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। ইফতার শুরুর আগে খেতে পারেন ফল বা জুস।

যিনি রোজা রেখে কোনো সমস্যা অনুভব করছেন না বা অন্য কোনো জটিলতায় ভুগছেন না তিনি রোজা রাখতে পারবেন, অন্যথায় পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করে নেবেন। গর্ভাবস্থার ওপর ভিত্তি করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তা না হলে অনাগত শিশু অপুষ্টির শিকার হতে পারে। মা ভুগতে পারেন মূত্রথলির ইনফেকশনে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –