• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

শীত উপেক্ষা করে ভজের জানাজায় জনস্রোত

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২১  

সৈয়দপুরের ইতিহাসে ভজের বিকল্প আর কোনো নেতা ছিল না। বিগত ৩০ বছর দৃঢ়তার সঙ্গে ক্ষমতার দাপটে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন সদ্যপ্রয়াত মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার ভজে। এসব কথা বলেছেন জানাজায় অংশ নিতে আসা এলাকাবাসী। তারা বলছেন, একজন দক্ষ ও চৌকস নেতাকে হারাল এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভা থেকে ছুটে আসেন লাখ লাখ মানুষ তাদের প্রিয় নেতা আমজাদ ভজেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে। এর আগে আর কোনো নেতার ক্ষেত্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি।

অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। শহর-গ্রামের প্রতিটি মসজিদে জুমার নামাজে প্রয়াত মেয়র ভজের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা হয়। এরপর দলমত নির্বিশেষে কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে জনস্রোতের ঢল রাস্তায় নামে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এবং জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য।

রাজনৈতিক জীবনে ভজে একবার সংসদ সদস্য (নীলফামারী-৪ আসন), একবার সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং চারবার সৈয়দপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান/মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত এ মানুষটি চলমান নির্বাচনেও মেয়র প্রার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুতে এ পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, খুব শিগগিরই নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

স্বজনরা জানান, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১৫ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন ভজে। সেখানে তিন দফা নমুনা পরীক্ষার সবটিতে করোনা পজিটিভ আসে। এক সপ্তাহ ধরে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ও লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ভোরে অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার ভজে (৬৩) ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তার লাশ পৌরভবন প্রাঙ্গণে রাখা হয়েছিল। এরপর ১২টা পর্যন্ত রাখা হয় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে। বাদ জুমা তার প্রতিষ্ঠিত মকবুল হোসেন কলেজ প্রাঙ্গণ সংলগ্ন বড় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও নীলফামারী-৪ আসনের (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) সংসদ সদস্য আদেলুর রহমান, সাবেক এমপি আলহাজ শওকত চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সৈয়দপুর সভাপতি ও আসন্ন পৌরসভার মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম, দিনাজপুরের সাবেক এমপি আকতারুজ্জামান, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ, সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভজেকে পাটওয়ারী পাড়ায় অবস্থিত পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। মরহুমের দাফনকার্য শেষ হয় বিকেল চারটার দিকে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –