সংসারের অভাব ঘোচেনি ঠাকুরগাঁওয়ের বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়ার
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২০
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা বলিদ্বারা গ্রামের বীরঙ্গনা টেপরি বেওয়া (৬৫)। বাড়িতে ঢুকতেই মুখে মৃদু হাসি দিয়ে পরিচয় জানতে চাইলেন। এরপরে বসতে দিলেন চেয়ারে। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কাছে এসে বললেন, কী জানতে চান বলেন?
১৮ অক্টোবর রবিবার সকালে একান্ত সাক্ষাৎকারে টেপরি বেওয়া তার নিজ বাড়িতে আলাপকালে জানান, ১৯৭১ সাল দেশে তখন ভয়াল স্বাধীনতা যুদ্ধ। আমার বয়স তখন ১৬-১৭ এর মতো হবে। প্রতিদিন বাবা-ভাইয়ের সাথে ভয়ে ভয়ে কাটতো দিন। প্রতিদিনই মনে হতো এই বুঝি পাঞ্জাবিরা এসে তাদের মেরে ফেলবে। এপ্রিলের শেষ দিকে টেপরির গ্রামের এক নেতৃস্থানীয় লোক তার বাবা ভাইকে বলে, যদি তোমরা তোমাদের এই মেয়েটাকে পাকিস্তানের ক্যাম্পে পাঠিয়ে দাও তাইলে এই মেয়ের উসিলায় তোমার পুরো পরিবার বেঁচে যেতে পারে।
কোনো উপায় না থাকায় সহজ সরল বাবা মেয়ের হাত ধরে কাছের পাকিস্তানি সৈন্যদের ক্যাম্পে দিয়ে আসে আমাকে। সারা রাস্তা ধরে একটা কথা বলে নাই বাপ মেয়ে। টেপরিকে দিয়েই মাথা নিচু করে ফিরে আসে।
এর পর সাত মাস টেপরি ছিল সেই পাক ক্যাম্পে। টেপরির কাছে প্রতিরাতেই আসতো তিন-চারজন পাকিস্তানি শুয়োরের বাচ্চারা। পালা করে প্রতিদিনই পাষবিক নির্যাতন করতো তারা। আর বাকি অত্যাচারের কথা মুখে বলার নয়। এভাবেই দীর্ঘ সাত মাস নিজের দেহের বিনিময়ে নিজের পরিবার ও দেশকে রক্ষা করে টেপরি বেওয়া।
এর মধ্যে সময় অতিবাহিত হওয়ার পর দেশ স্বাধীন হলে পাকিস্তান ক্যাম্প থেকে বাবা টেপরিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। টেপরি ততদিনে গর্ভবতী।
গ্রামের লোকেরা টেপরি বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলতে বলে। কিন্তু টেপরির বাবা তাকে বলেন, রেখে দে মা। তোর তো আর কেউ রইবে না। এই বাচ্চাই তোর একমাত্র সম্বল হবে। শেষ বয়সে তোর দেখাশোনার জন্য সেই তোকে আগলে রাখবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এরই মধ্যে জন্ম হয় টেপরি বেওয়ার একমাত্র ছেলের। ছেলের নাম রাখা হয় সুধীর।
ছোট থেকেই সুধীরের সাথে কেউ খেলত না, তার থেকে সবাই দূরে দূরে থাকত। যেন সুধীর কোনো ছোঁয়াছে রোগ। তাকে সবসময় পাঞ্জাবির বাচ্চা জারজ বলে ডাকত সবাই। অনেক অপমান সইতে হয়েছে তাকে। কিন্তু সুধীর কিছুই বলত না। বলার ভাষাও ছিল না তার জানা।
কেন কোনো প্রতিবাদ করত না- সুধীরকে জিজ্ঞেস করা হলে সুধীর বলছিলেন, ঝগড়া করতে তো লোক লাগে, কিন্তু আমার সাথে কেউ মিশত না। জীবনটা এখনো তার ফাঁকা ফাঁকা লাগে। এভাবেই একাই জীবন কাটে ভ্যানচালক সুধীরের। পরিবারে মা, বউ আর দুই মেয়ে- এই সুধীরের পৃথিবী।
গ্রামের আর কারো সাথে তাদের সম্পর্ক তেমন নেই। সুধীরের ছোট মেয়ে জনতা রায়। তিনি দিনাজপুর কে.বি.এম কলেজ অনার্স ৩য় বর্ষে অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তার দুই জমজ মেয়েকে সুধীর আগলে রাখেন। এ নিয়ে টেপরি বেওয়াসহ ৬ সদস্যের ভরণপোষণ কষ্ট করে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। টেপরি বেওয়ার সরকারি বীরঙ্গনা ভাতা বাবদ ১২ হাজার টাকা পেলেও ঋণের কিস্তি বাবদ অর্ধেক টাকা চলে যায়। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকের দেয়া একটি অটোচার্জার সুধীরকে দেওয়া হলে তিনি এখন ভ্যান ছেড়ে অটো চালাচ্ছেন। তবুও সংসারের ঘানি টানতে হিমশিম খাচ্ছেন।
টেপরি বেওয়ার ছোট নাতনি জনতা রায় বলেন, দাদির ভাতার টাকা বাবার অটো চালানোর টাকা দিয়ে ৬ জনের পরিবারের ভরণপোষণ ও আমার লেখাপড়ার খরচ চালানো বাবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়া বলেন, শরীর তেমন আমার ভালো নেই, কোমরে সবসময় ব্যাথা লেগেই আছে। সুধীরের সংসার টানতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এ করোনাকালে ছেলের আয় কমে গেছে। সবমিলে এখনো অনেক কষ্ট করে সংসার চলে!
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে
- ‘ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে’
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- মনোয়ারার পাশে দাড়ালো সেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আমরা করব জয়’
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মা মারা গেছেন
- একদিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু
- কাহারোলে বিনামূল্যে পাট চাষীদের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ
- চিরিরবন্দরে সামাজিক সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনছেন ইলন মাস্ক
- ধুলামুক্ত রাস্তা চায় হিলিবাসী
- দিনাজপুরে ১০ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে’
- বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ জেগে উঠেছিল: মেয়র আতিক
- হাবিপ্রবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
- জানা গেলো ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ
- ভুটানকে ৬-০ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা
- অক্টোবরে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন
- হিলি রেল স্টেশন পরিদর্শনে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- ৭১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অধিদফতর: ক্রীড়ামন্ত্রী
- কাজের অজুহাতে রোজা ভাঙা যাবে?
- বীরগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন
- চ্যাম্পিয়ন শিরোপা যাদের উৎসর্গ করলেন তামিম
- সৌম্যর কনকাশন নিয়ে শ্রীলংকার সন্দেহ
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ
- খাস জমি ইজারা দেওয়ার বিষয়ে জিরো টলারেন্স: ভূমিমন্ত্রী