• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সঙ্গীর অভাবে মা হতে পারছে না রংপুর চিড়িয়াখানার উটপাখিটি

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২১  

২০১৯ সালের ২৮ মার্চ মাত্র তিন মাস বয়সে উটপাখিটি নেয়া হয় রংপুর চিড়িয়াখানায়। উটপাখিটির বয়স এখন দুই বছরের বেশি। সম্প্রতি এটি সাতটি ডিম দিয়েছে, কিন্তু পুরুষ সঙ্গীর অভাবে ডিমগুলো ফোটানো সম্ভব হচ্ছে না।

রংপুর চিড়িয়াখানার উটপাখির খাচার কেয়ারটেকার মো. আনিস জানান, মা পাখিটি ডিমগুলো আগলে রেখেছে। পুরুষ সঙ্গী না থাকায় ডিমগুলো ফোটানো যাচ্ছে না। দুই মাস ধরে ডিমগুলো ওই অবস্থায় পড়ে আছে। ফোটানো সম্ভব না হলে ডিমগুলো সংরক্ষণ করা হবে।

চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা ডা. এইচ.এম শাহাদাত শাহীন জানান, উটপাখিটি চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ডিম দিতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত সাতটি ডিম দিয়েছে। একেকটি ডিমের ওজন প্রায় দেড় কেজি। পুরুষ সঙ্গী না পেলে এই পাখির বংশবৃদ্ধি সম্ভব হবে না।

রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো. আমবার আলী তালুকদার জানান, ডিমগুলো ফার্টাইল করার জন্য একটি পুরুষ উটপাখি দিতে ঢাকা চিড়িয়াখানায় আবেদন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনো পাখিটি আনা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো জানান, অঞ্চলভেদে উটপাখির প্রজনন ভিন্ন। ডিম দেয়ার ৩৫-৪৫ দিন পর বাচ্চা হয়। উটপাখি ২-৪ বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এরা বেঁচে থাকে ৩৫-৪৫ বছর।

১৯৮৯ সালে রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকায় প্রায় ২১ একর জমির উপর চিড়িয়াখানাটি গড়ে তোলা হয়। ১৯৯২ সালে এটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়। বর্তমানে রংপুর চিড়িয়াখানায় সিংহ, বাঘ, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, গাধা, ঘোড়া, ভাল্লুকসহ ৩৩ প্রজাতির ২৫১টি প্রাণী রয়েছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –