• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

সুখি দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২  

মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘তিনিই মহান সত্তা! যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন ও তা হতে তার জোড়া সৃষ্টি করেন; যাতে সে তার নিকট প্রশান্তি লাভ করে।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮৯)
প্রথম মানব ও প্রথম নবী হজরত আদম (আ.)–কে সৃষ্টি করার পর তিনি একাকিত্ব অনুভব করলেন। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গী হিসেবে আদি মাতা বিবি হাওয়া (আ.)–কে সৃজন করলেন। এখান থেকেই শুরু যুগলবন্দী দাম্পত্যজীবনের। 

আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় বাবা আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.) দুনিয়াতে এলেন। তাঁদের ঔরসজাত সন্তানেরাই পৃথিবী সাজিয়েছে। আর সে সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে এই বিবাহবন্ধন ও দাম্পত্যবিধান।

দাম্পত্যজীবন শরিয়তসিদ্ধ একটি আইনগত সম্পর্ক হলেও এর মূল হলো ভালোবাসা ও মায়া–মমতা। 

আল্লাহ তায়ালার এরশাদ, ‘এবং তার নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্য হতে জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের নিকটে শান্তি পাও; এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ২১)

‘পুরুষ নারীর ওপর দায়িত্বশীল; কারণ, আল্লাহ তাদের একের ওপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৩৪)

বিয়ের পর স্বামীর ওপর তিনটি দায়িত্ব বর্তায়: স্ত্রীর ভরণপোষণ, পোশাকপরিচ্ছদ ও আবাসনব্যবস্থা করা। স্বামীর প্রতি ওয়াজিব হলো এমন একটি গৃহে স্ত্রীর আবাসনব্যবস্থা করা, যে ঘরে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া কেউ প্রবেশ করবে না। এমনকি স্বামীর পরিবারের লোকও নয়, সন্তানও নয়। তা হতে হবে রান্নাঘর ও স্নানাগারসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ আবাসনব্যবস্থা, যাতে তালাবদ্ধ করার ব্যবস্থাও থাকবে। 

ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রহ.)–এর মতে সামর্থ্যবান স্বামীরা স্ত্রীর জন্য একজন পরিচারিকার ব্যবস্থা করবেন। 

স্ত্রীর দায়িত্ব হলো স্বামীর সংসারের দেখাশোনা, তদারক করা ও স্বামীর সম্পদ হেফাজত করা এবং সন্তান প্রতিপালন করা। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘সুতরাং সাধ্বী স্ত্রীরা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে আল্লাহ যা সংরক্ষিত করেছেন, তা হেফাজত করে।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৩৪)

শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সামর্থ্য বিয়ের পূর্বশর্ত। সামর্থ্য না থাকলে কী করতে হবে, তা–ও কোরআনে বর্ণিত আছে, ‘যাদের বিবাহের সামর্থ্য নেই, আল্লাহ তাদের নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে।’ (সুরা-২৪ নূর, আয়াত: ৩৩)

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –