• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

সৌদির ‘বিশেষ হজ ব্যাগ’ পাচ্ছেন হজে অংশগ্রহণকারীরা

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২০  

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র হজ। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তায় এবারের হজ আয়োজন করছে সৌদি আরব। হজ উপলক্ষে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ বিশেষ ব্যাগ সরবরাহ করেছে দেশটি।

হজের জন্য ইহরামের কাপড় বিশেষ জরুরি। সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড়ও সরবরাহ করবে সৌদি প্রশাসন। এসবই হজে অংশগ্রহণকারীদের সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য এ ব্যবস্থা করেছে দেশটি।

মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর হজের সব ব্যবস্থাপনা কমিয়ে আনা হয়েছে। সীমিত পরিসরে সর্বোচ্চ ১০ হাজার লোকের অংশগ্রহণে হজ অনুষ্ঠিত হবে। হাজিদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার।

স্বাস্থ্য সতর্কতার অংশ হিসেবে সৌদি হজ ও ওমরাহ কর্তৃপক্ষ হজে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ একটি বিশেষ ব্যাগ সরবরাহ করেছে। 

এর মধ্যে রয়েছে-

> ইহরামের পোশাক।
> প্রোটেক্টিভ ফেইস মাস্ক।
> শেভিং সরঞ্জামাদি।
> প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি।
> মিনায় নিক্ষেপের কংকর।
> টুথপিক।
> ইয়ারপ্লেগ (কান প্লেগ)
> চোখের নিরাপত্তায় আই কাভার।
> একটি ছাতা।
> জায়নামাজ।
> অনলাইন নিউজ পেপার।
> হ্যান্ড সেনিটাইজার।
> একটি হজ গাইডবুক।

সৌদি আরব এ বছর ১০ হাজার লোককে হজের অনুমতি দিয়েছে। তবে সৌদির বাইরে থেকে কোনো লোককে হজের অনুমতি দেয়া হয়নি। সৌদিতে অবস্থানকারী ১৬০ দেশের (শতকরা ৭০ ভাগ) নাগরিককে এবার হজে অংশগ্রহণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্য থেকে ৩০ ভাগ লোক হজ করবে।

তবে সৌদির স্থানীয়দের মধ্যে দেশটির কোনো কর্মকর্তা এবারের হজে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাছাড়া অনুমতি ছাড়াও কেউ হজে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বিনা অনুমতিতে হজের রোকনের স্থানে অন্য কেউ প্রবেশ করলেই জরিমানা গুনতে হবে ১০ হাজার রিয়াল।

সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য সৌদি আরব অনেক শর্তারোপ করেছে। ২০ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী লোকদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় ৬৫ বছরের বেশি কোনো লোককে হজের অনুমোদন দেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই থেকে হজের কার্যক্রম শুরু হবে। এ দিন জোহরের আগেই হজে অংশগ্রহণকারীরা মিনায় উপস্থিত হবে। ৩০ জুলাই ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে ও মসজিদে নামিরায় উপস্থিত হয়ে হজ সম্পন্ন করবে এবারের অংশগ্রহণকারীরা।

বর্তমানে আইসোলেশনে অবস্থান করছেন হাজিরা। তারপর হাজিদের বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেই ২৯ জুলাই মিনার উদ্দেশ্যে রওনার অনুমতি দেয়া হবে। হজ শেষে প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারপর যার যার অবস্থানে ফেরার অনুমতি দেবে হজ ও ওমরাহ কর্তৃপক্ষ।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –