• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, আলামত নষ্টের অভিযোগে লাশ উত্তোলন

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২১  

দিনাজপুরের বিরামপুরে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে জেসমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার দুপুরে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামে ওই গৃহবধূকে দাফন করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলি খিয়ারমামুদপুর গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ তোলা হয়। নিহত গৃহবধূ জেসমিন ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুতের স্ত্রী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার উপস্থিত থেকে লাশ উত্তোলন করেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের চকশুলবান গ্রামের জেসমিন আক্তারের সাথে একই উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুতের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে বিবাদ লেগেই থাকত। গত সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে উঠানে তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বেধড়ক মারপিট করেন স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎ। 

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করেন জেসমিন আক্তার। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই দিন সন্ধ্যায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর একদিন পর বুধবার ভোরে জেসমিন আক্তারের মৃত্যু হয়। বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে বুধবার দুপুরে আলামত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে জেসমিন আক্তারের লাশ দ্রুত দাফন করা হয়।

এদিকে, গত ২৬ আগস্ট আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে স্থানীয় গ্রামপুলিশ হামিদুর রহমান বাদী হয়ে বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত জেসমিন আক্তারের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করে।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়েই আজ লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্ত শেষে আবারও কবরস্থ করা হবে। 

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ওয়াহেদুননবী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, পরিদর্শক (তদন্ত) মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –