• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

হিলির বাজারে অপরিপক্ব নতুন আলু, দাম চড়া

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২২  

দিনাজপুরের হিলি বাজারে মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর দেখা মিললেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি কেজি আলুর দাম ৮০ টাকা। নতুন আলু পেয়ে খুশি ক্রেতারা। তবে দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা কিনতে পারছেন না। ব্যবসায়ীদের দাবি আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যেই মাঠ থেকে নতুন আলু উঠতে শুরু করলেই দাম কমে যাবে।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে হিলির সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন আলু ৮০, নতুন পেঁয়াজ ৩০, শিম ৫০, বেগুন ২০, করলা ৫০, ফুলকপি ৩০, বাঁধাকপি ২০, শজনে ডাটা ১৬০, ঢেঁড়স ৬০, শসা ৮০, মূলা ১০, পটল ২০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

নতুন আলু বিক্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সবজি ব্যবসায়ী বলেন, এখনো হিলির আলুচাষিদের আলু বাজারে আসেনি। পাশের পাঁচবিবির হাট থেকে ৮০ টাকা কেজি একমণ আলু পাইকারি কিনেছি। এখানে ৮০ টাকায় বিক্রয় করছি। অনেকে শখে নতুন আলু কিনছে।

বাজারে সবজি ক্রেতা একলাছুর বলেন, প্রতিদিনের খাবারের জন্য সবজি কিনতে এসেছি। বাজারে নতুন আলু দেখে ভালো লাগলো তাই ৮০ টাকা দিয়ে এক কেজি কিনেছি। আলুগুলো এখনো পরিপক্ব হয়নি। এখন খেতে ভালো হলেই হয়। তবে পুরাতন আলুর দামও বেশি।

হিলি চার মাথা এলাকার ভ্যানচালক হরমুজ আলী বলেন,বাজারে নতুন আলু উঠেছে যে দাম তাতে আমার মতো গরিব মানুষের কিনে খাওয়া স্বপ্নের ব্যপার। কারণ আমরা সারাদিন ভ্যান চালিয়ে ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা আয় করি। আলু কিনতেই যদি ৮০ টাকা চলে যায় তাহলে সংসারের অন্য জিনিসের জোগান কিভাবে দিব।

এদিকে হাকিমপুর কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলার কয়েকটি জাতের ৯২৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। আর সবজি চাষ করা হয়েছে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে। সবচেয়ে বেশি আলু চাষাবাদ করা হয়েছে উপজেলার খট্টামাধবপাড়া এলাকায়।

শনিবার দুপুরে মাধবপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠের আলু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা।

আলু চাষি সোহেল রানা বলেন, আমাদের এই এলাকায় উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলু আবাদ হয়ে থাকে। বর্তমানে আমাদের এই মাঠে রোমানা এবং ক্যারেজ/রডেটু জাতের আলুর চাষ বেশি করা হয়েছে। আশা করছি বিঘাপ্রতি ৪০ মণ ছাড়িয়ে যাবে।

সাখোয়াত নামের এক কৃষক বলেন, এবার আমি ২০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। সারের যে দাম তাতে আলুর দাম ভালো না হলে আমাদের ক্ষতি হবে। আশা করছি আগামী মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যেই নতুন আলু বাজারে তুলতে পারব।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, আমাদের এই উপজেলায় ৯২৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও ২৪৮ হেক্টর জমিতে অন্যান্য জাতের সবজি চাষ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এখানকার নতুন আলু বাজারে চলে আসবে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –