• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

১৪ বছরে পদার্পণ করল মাশরাফি দম্পতি

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সুমনা হক সুমির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
দেখতে দেখতে একসঙ্গে পথচলার ১৩ বছর পেরিয়ে ১৪ বছরে পদার্পণ করল এই দম্পতি। সোমবার ক্রিকেট অঙ্গনের এই দম্পতির ১৩তম বিবাহবার্ষিকী।

ফেসবুকে রোববার থেকেই মাশরাফি দম্পতির জন্য শুভকামনা জানান তার ভক্তরা।

নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকার গোলাম মুর্তজা স্বপন ও হামিদা মুর্তজা বলাকার জ্যেষ্ঠপুত্র। শহরের আলাদাতপুর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলাম এবং স্কুলশিক্ষিকা হোসনে আরা সিরাজের কনিষ্ঠ কন্যা সুমনা হক সুমির সঙ্গে মাশরাফির বিয়ে হয়।

ছোটবেলায় সুমির বাবা মারা গেছেন। সে থেকেই  মা হোসনে আরা বেগমের পরিশ্রম আর অভিভাবকত্বেই মানুষ হয়েছে সুমি। আত্মীয়স্বজন এসে মাকে বোঝায়- ‘ছেলে ক্রিকেট খেলে। কোথায় কী করে, তার কোনো ঠিক আছে! এমন ছেলের হাতে মেয়ে দেয়া ঠিক হবে না।’  

পুরো ব্যাপারটা এক করতে মাশরাফীর ছোট মামা নাহিদের ওপর বর্তায়। বিয়ের ব্যাপারে মাশরাফীর এক ফোনেই তোলপাড়। 

শেষ পর্যন্ত নাহিদের ঘোষণা , ‘আপনারা আপসে রাজি হলে ভালো কথা। নইলে ওদের বিয়ে দিয়ে দেব। পারলে আপনারা দুই পরিবার ঠেকাতে আসবেন।’ এই হুমকির পর আর কথার দরকার হল না। সবাই রাজি হয়ে গেলেন। 

২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মাশরাফী-সুমির বিয়ে হয় শহরের রূপগঞ্জ উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে। ওই দিন দুপুরে বিশাল গাড়িবহরে বর বেশে প্রবেশ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরদিন চিত্রা নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিনোদন পার্ক ‘নড়াইল চিত্রা রিসোর্টে’ বৌ-ভাতের আয়োজন করা হয়।

সেদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তৎকালীন সভাপতি, কোচ, জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়সহ ক্রীড়াঙ্গনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নড়াইলের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ দাওয়াত পেয়েছিলেন। এক কথায় এ অনুষ্ঠান ঘিরে সেদিন বিভিন্ন পেশার মানুষের মিলনমেলা হয়েছিল।

দাম্পত্য জীবনে মাশরাফী-সুমির দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তান মেয়ে হোমায়রা মোর্ত্তজা এবং ছেলে সাহেল মোর্ত্তজা। মাশরাফির জন্মদিনেই সাহেল পৃথিবীর আলো দেখেছে।

শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে মাশরাফির বন্ধু সৌমেন চন্দ্র বসু বলেন, মাশরাফী-সুমি দম্পতির যুগলবন্দী জীবন অনিন্দ্য-সুন্দর, অনুকরণীয়। দুজনেই আদর্শ চরিত্রের অধিকারী, পরোপকারী ও সুন্দর মনের অধিকারী। হুমায়রা-সাহেলের মতো ফুটফুটে দুটি সন্তানকে নিয়ে এখন তাদের সুখের সংসার। আজ মাশরাফী-সুমি দম্পতির বিবাহবার্ষিকী। বিবাহবার্ষিকীর এই শুভদিনে তাদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।  

ফেসবুক বন্ধুরা মাশরাফীর বিয়ের দিনের ছবিসহ তার স্ত্রী ও সন্তানদের ছবিও পোস্ট করেছেন। মাশরাফীর জন্য দোয়াসহ ভালো ক্রিকেট খেলার প্রত্যাশা করেন ভক্তরা।

এদিকে মাশরাফী ও তার পরিবার কখনই বিবাহবার্ষিকী এবং জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করে না। এক্ষেত্রে সবার কাছে দোয়া চেয়েছে তাদের পরিবার।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –