৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নতুন স্বপ্নে সমুদ্রে জেলেরা
প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২১
সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে শুক্রবার মধ্যরাতে। তাই দীর্ঘদিন পর কক্সবাজার উপকূলের লাখো জেলে নতুন স্বপ্ন নিয়ে সাগরে যেতে শুরু করেছেন। এর আগেই জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় মহাখুশি তারা।
লকডাউন আর বিধিনিষেধে যখন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় অচল তখন মাছ শিকারে যেতে পেরে অনেকটা স্বস্তিও ফিরেছে জেলে পরিবারগুলোতে। এমনটাই জানা গেছে কক্সবাজারের একাধিক জেলে ও তাদের পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলে।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সাগরে যেতে না পারায় কক্সবাজারের ৬৩ হাজার ১৯৩ জন জেলের জন্য প্রায় তিন হাজার ৫৩৯ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন তালিকা অনুযায়ী জেলার আট উপজেলার জেলে পরিবারের মাঝে এই চাল বিতরণ করা হয়েছে।
এখন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাগরে যাত্রা শুরু করছেন তারা। সমুদ্রে জেলের জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়বে এমনটা আশা ট্রলার মালিক ও ব্যবসায়ীসহ সবার।
নিষেধাজ্ঞার কারণে এতদিন উপকূলে পড়েছিল মাছ ধরার ট্রলারগুলো। অনেক ট্রলারে পড়ে ছিল মরিচা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা গেছে, জেলেরা ফিরছেন ট্রলারে। এরপর তারা ট্রলারে জাল, রশি ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এর আগেই ট্রলারে রং করে ও ধুয়ে মুছে প্রস্তুত করা হয়। জেলেরা যেন উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা আশা করছেন, গত মৌসুমের মতো এবারো তাদের জালে ধরা পড়বে ঝাকে ঝাকে বড় বড় রূপালি ইলিশ। তা বিক্রি করে পরিবারে ফিরবে স্বাচ্ছন্দ্য। এমন স্বপ্ন নিয়ে সমুদ্রে যাত্রা হাজার হাজার জেলের।
শুক্রবার বিকেলে আলাপকালে কক্সবাজারের একাধিক জেলে বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। রাতে সাগরে ট্রলার ভাসাব। আশা করছি, এবার ভালো মাছ পাব। পরিবারের অভাব দূর হবে। এক ট্রলার মালিক জানান, তার সব ট্রলার মাছ ধরতে সাগরে যেতে প্রস্তুত এখন।
ট্রলার মালিক আর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা কামাল হোসেন বলেন, কষ্ট করে নিষেধাজ্ঞার সব নিয়ম পালন করেছে জেলেরা। এখন সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়লেই সবার কষ্ট লাঘব হবে।
কক্সবাজারে ছোট-বড় আট হাজারের অধিক মাছ ধরার ট্রলার থাকলেও নিবন্ধিত ট্রলারের সংখ্যা ছয় হাজার। আর উপকূলে জেলে রয়েছেন লাখেরও বেশি।
সমিতিপাড়ার জেলে নুরুল কবির বলেন, ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাগরে যেতে পারিনি। ফলে ঈদে পরিবারকে তেমন কিছু দিতে পারিনি। চলতে-ফিরতেও কষ্ট হয়েছে। অবশেষে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলো। সাগরে যাচ্ছি। বেশ খুশি লাগছে।
ট্রলার মালিক জনি মোহাম্মদ বলেন, দীর্ঘদিন নৌকা স্থলে পড়ে থাকায় ভাঙন ধরেছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে এটা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি। কারণ এ বন্ধের ফলে সাগরে মাছ বৃদ্ধি পাবে। আশা করছি, জেলেরা এখন বেশি মাছ নিয়ে ফিরবে।
কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৬৫ দিনের সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ফলে কোনো ট্রলার সাগরে যেতে পারেনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সাগর ও নদী মোহনায় মাছ ধরা ৬৫ দিন নিষিদ্ধ ছিল। শুক্রবার রাতে সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। এখন দেশের সামুদ্রিক জলসীমানায় সব ধরনের মৎস্য আহরণসহ পরিবহন ও সংরক্ষণে আর বাধা নেই।
উল্লেখ্য, মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় প্রতিবারের মতো এ বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সরকার।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
- ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- পাকিস্তান-ইরানের সম্পর্কের নতুন মাত্রা
- ‘জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি’
- পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হলেন ১৩০ জন
- আমিরাতে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ, সুস্থ আছেন নাবিকরা
- ঢিলেঢালা পোশাক ও যথাসম্ভব ছায়ায় থাকুন: চিফ হিট অফিসার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- ‘যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত’
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- ঘোড়াঘাটে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন সভা
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- দিনাজপুরে ‘বাঁশের চালে’ রান্না হচ্ছে ভাত-পায়েস
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- তীব্র গরমে যেসব আমলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- শাস্তির মুখোমুখি হবেন ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা’
- ছাতা নিয়ে বের হওয়াসহ যে পরামর্শ দিলেন হিট অফিসার
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!
- ঈদে পার্বতীপুর- জয়দেবপুর রুটে চলবে ৩টি বিশেষ ট্রেন
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরো সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঈদের দিন বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেন
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বাড়ছে
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- বুয়েটে অপরাজনীতি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
- ‘ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না’
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- মস্কো হামলায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: হোয়াইট হাউজ
- রাইমা সেন কেনো হুমকি!
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে