রমজানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার হোক নিয়ন্ত্রিত
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে।
বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়। এমন কিছুও আমাদের দেখতে হয়, যার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নই বা যা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তার ওপর সংযমের মাস রমজানে একজন রোজাদারের প্রধান দায়িত্বই হলো গুনাহ ও অহেতুক কাজমুক্ত একটি পবিত্র জীবন। তাই রোজাদারদের ব্যক্তিজীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রয়েছে দুটো দিক—আলো ও অন্ধকার। এখন ব্যবহারকারী আলোর পথে হাঁটবে, নাকি অন্ধকার ও গুনাহের অলিগলিতে ঘুরে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে, সেটি একান্তই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তবে একজন মুসলমান ও রোজাদার হিসেবে এসবের ব্যবহারে আমাদের রয়েছে অনেক করণীয় ও বর্জনীয়।
প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমাদের অবশ্যই উপকারী ও কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই হারাম ও ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। যেমন অশ্লীলতার বিস্তার ঘটানো, গুনাহের উপাদান প্রচার করা, গিবত করা, গালাগালি করা, কাউকে অপমান ও অপদস্থ করা, ট্রল করা, ভুয়া তথ্য প্রচার করা, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা, দাঙ্গা-সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানো, কারও ব্যক্তিজীবনের দোষত্রুটি ফাঁস করা, গুনাহের কাজের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তো সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয় পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য অহেতুক স্ক্রল করা, অপ্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনর্থক কাজ। এর মাধ্যমে সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা সবকিছুরই অপচয় হয়। ইসলামের সৌন্দর্য হলো অযথা ও অনর্থক যাবতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।’ (তিরমিজি: ২৩১৭; ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো চোখের গুনাহ। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি মাধ্যমে এখন না চাইলেও অনেক গুনাহের ছবি-ভিডিও চলে আসে, যা ব্যবহারকারীর জন্য চোখের গুনাহের কারণ হয়। চোখের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চোখে দেখা, তাকানো বা হারাম দৃষ্টিপাত করা চোখের জেনা; যা নিঃসন্দেহে ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।’ (মুসলিম: ২৬৫৭) সুতরাং রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় অপচয় করা ও নেশার মতো লেগে থাকা উচিত নয়। এর কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অলসতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগি ও গুনাহ মাফের মাস। এখানে ফেলে আসা জীবনের ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির করা এবং তওবা-ইস্তিগফার করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। তাই রোজাদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এমন পরিকল্পনা করা দরকার, আমরা খুবই প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় নষ্ট করব না। কোনো প্রয়োজন না থাকলে এক মাসের জন্য তা বন্ধ রাখাও যায়। সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনুধাবন করতে হবে। সময়ের দাম কত বেশি, তা নবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়েছেন। তিনি তাঁদের পাঁচটি জিনিসকে পরের পাঁচটি জিনিস আসার আগে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এর মধ্যে দুটি হলো—অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে এবং জীবনকে মৃত্যুর আগে মূল্যায়ন করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৮০৫৮)
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- এক সপ্তাহ পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- মধ্যরাতে পুড়ল ১১ দোকান, যেভাবে লাগে আগুন
- খড়ি শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
- গোসল করে জুমার নামাজ পড়া হলো না মুরাদের
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- রাজশাহীর আম দেখতে আসবে চীনের প্রতিনিধিদল: কৃষিমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আ’লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধ আহত, তিনটি গবাদিপশুর মৃত্যু
- হিলিতে প্রথমবার কিনোয়া ও চিয়া সিড চাষাবাদ
- কাহারোলে বোরো সংগ্রহের উদ্বোধন
- হাকিমপুরে খেলার সময় ডোবায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
- তালের শাঁসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
- অবসরের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রি
- সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম: মিষ্টি জান্নাত
- কোরআন-হাদিসে মায়ের অধিকার
- আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ হবে ২৫ শতাংশ
- কৃষি নিয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী
- ‘সরকার-নাগরিক পার্টনারশিপ হলে নগরের সমস্যা দূর হবে’
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার
- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র’
- ওজন কমাতে চাইলে যে ৪ ফল খাবেন
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালুর তারিখ জানালেন রেলমন্ত্রী
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৩ প্রার্থী
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- বিশ্বকাপের টিকিট পেতে পারেন যে ১৫ ক্রিকেটার
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- বিরলে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধ আহত, তিনটি গবাদিপশুর মৃত্যু