হারামাইন শরিফের শীতলতার রহস্য
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
যারা হজ বা ওমরা করতে গেছেন তারা নিশ্চয়ই একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন যে, চামড়া পোড়ানো সেই তীব্র গরমে ও খোলা আকাশে কড়া রোদের নীচে পবিত্র কাবা ঘরের চারপাশে তাওয়াফ স্থলের মেঝেতে কিন্তু পা পুড়ে যায় না। বরং বেশ শীতল অনুভূত হয়। এর পেছনে রহস্য কি?
যিনি এই মহান কাজের কারিগর ও উদ্যোক্তা তিনি হলেন মিসরীয় ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কিটেক্ট ড. মুহাম্মাদ কামাল ইসমাঈল (১৯০৮-২০০৮)। লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতেই যিনি পছন্দ করতেন। ২০০৮ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যাকে ‘উসতাযুল আজয়াল’ তথা প্রজন্ম সমূহের শিক্ষক উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে।
মিসরীয় ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম সর্বকনিষ্ঠ ছাত্র, যিনি মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ‘রয়েল স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ ভর্তি এবং গ্রাজুয়েট হয়েছিলেন! ইউরোপে পাঠানো ছাত্রদের মধ্যেও তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। ইসলামি আর্কিটেকচারের ওপর আলাদা বিষয়ে ৩টি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী প্রথম মিসরীয় ইঞ্জিনিয়ারও তিনিই।
ইনিই হলেন সেই প্রথম ইঞ্জিনিয়ার যিনি হারামাইন (মক্কা-মদিনা) সম্প্রসারণ প্রজেক্টের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। ড. কামাল ইসমাঈল হারামাইনের নকশা বা আর্কিটেক-চারাল তত্ত্বাবধায়নের জন্য বাদশাহ ফাহাদ এবং বিন লাদেন গ্রুপ-এর সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। মোটা অংকের চেক তিনি ফিরিয়ে দেন। কাজের প্রতি তার সততা এবং আন্তরিকতা ছিল প্রশ্নাতীত। তিনি তার কাজে কাউকে তোষামোদ করতেন না। এমনকি খোদ সউদি বাদশাহকেও না। এজন্য তিনি খাদেমুল হারামাইন বাদশাহ ফাহাদ, বাদশাহ আব্দুল্লাহ সহ সবার অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ও আস্থাভাজন ছিলেন।
তাকে কয়েক মিলিয়নের চেক প্রদান করা হলে তিনি ইঞ্জিনিয়ার বাকার বিন লাদেন (বিন লাদেন কোম্পানির অংশীদার)-কে বলেন, ‘হারামাইন শরিফাইনের কাজের জন্য আমি পারিশ্রমিক নেব? তাহলে আমি কেয়ামতের দিন কি করে আল্লাহর সামনে দাঁড়াব? কাবার প্রতি তার ভালোবাসা ছিল এমনই নিখাদ ও অকৃত্রিম।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪৪ বছর বয়সে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। এরপর তিনি আর বিয়ে করেননি। মৃত্যু পর্যন্ত তার পুরোটা জীবন তিনি আল্লাহর ইবাদতে নিরিবিলি কাটিয়েছেন। তিনি ১০০ বছর বেঁচেছিলেন। অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি, মিডিয়ার লাইম লাইট থেকে দূরে সরে থেকে পুরো সময় তিনি দুই মসজিদের সেবায় ব্যয় করেন।
তিনি প্রথমত চেয়েছিলেন সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে মসজিদুল হারামের মেঝে তওয়াফকারীদের জন্য ঢেকে দিতে (আগে কংকরময় ছিল, মুযদালিফার মতো)। বিশেষত এমন মার্বেল দিয়ে যার তাপ শোষণ ক্ষমতা আছে। এই বিশেষ ধরনের মার্বেল তখনকার সময়ে সহজলভ্য ছিল না। এ ধরনের মার্বেল পুরো পৃথিবীতে কেবলমাত্র গ্রীসের একটি ছোট পাহাড়ে ছিল। এ মহৎ উদ্দেশ্যে তিনি গ্রীসে গেলেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে মার্বেল কেনার কন্ট্রাক্ট সাইন করলেন।
ড. কামাল ইসমাঈল গ্রীসে কাজ শেষে মক্কা ফিরে গেলেন এবং সাদা মার্বেলের মজূদও চলে এল। যথা সময়ে মসজিদে হারামের মেঝের বিশেষ নকশায় সাদা মার্বেলের কাজ সম্পন্ন হলো।
১৫ বছর পর সউদি সরকার ড. কামালকে ডেকে মসজিদে নববীর চারদিকের চত্বরও একইভাবে সাদা মার্বেল দিয়ে ঢেকে দিতে অনুরোধ জানালেন। যেমনটি তিনি মাতাফে করেছিলেন।
ড. কামাল বলেন, ‘যখন আমাকে মসজিদে নববীর প্রশস্ত চত্বরের মেঝেতেও একই মার্বেল ব্যবহার করে আচ্ছাদিত করে দিতে বলা হলো, তখন আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম! কারণ ওই বিশেষ ধরনের মার্বেল গোটা পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না কেবলমাত্র গ্রীসের একটি ছোট অঞ্চল ছাড়া। তাদের যতটুকু ছিল তার অর্ধেক তো আমি ইতিমধ্যেই কিনে ফেলেছিলাম! অবশিষ্ট যা ছিল সেটা মসজিদে নববীর প্রশস্ত চত্বরের চাহিদার তুলনায় অল্প!
তিনি আবার গ্রীস গেলেন। সেই একই কোম্পানির সি.ই.ও এর সঙ্গে দেখা করে জানতে চাইলেন, ওই পাহাড়ের আর কতটুকু অবশিষ্ট আছে? সি.ই.ও তাকে জানালেন, ১৫ বছর আগে তিনি কেনার পরপরই পাহাড়ের বাকি মার্বেলটুকুও বিক্রি হয়ে যায়! শুনে তিনি এতটাই বিমর্ষ হলেন যে, তার কফি পর্যন্ত শেষ করতে পারলেন না। সিদ্ধান্ত নিলেন পরের ফ্লাইটেই মক্কা ফিরে যাবেন। অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে কোনো কারণ ছাড়াই অফিস সেক্রেটারির কাছে জিজ্ঞেস করলেন, বাকী মার্বেল কে ক্রয় করেছে? সেক্রেটারী বললেন, অনেক বছর হয়ে গেল। ক্রেতার নাম খুঁজে বের করাতো বেশ কঠিন। তখন আমি তাকে বললাম, আমি আরো একদিন গ্রীসে অবস্থান করব। সুতরাং আপনাকে ক্রেতার নাম খোঁজার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। একথা বলে তিনি তাকে তার হোটেলের টেলিফোন নম্বর দিয়ে চিন্তিত ও দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সেখান থেকে প্রস্থান করলেন। আসার সময় তিনি ভাবলেন, কে কিনেছে তা জেনেই বা আমার লাভ কি? স্বগোক্তি করলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ভালো কিছুই রেখেছেন।
পরদিন এয়ারপোর্টে রওনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কোম্পানির সেক্রেটারী ফোনে জানালেন, সেই ক্রেতার নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। কামাল ধীর গতিতে অফিসের দিকে এগোতে এগোতে ভাবলেন, এই ঠিকানা কি আসলে আমার কোনো কাজে আসবে? মাঝে যখন এতগুলো বছর পেরিয়ে গেছে। অফিসে পৌঁছলে সেক্রেটারী তার হাতে ক্রেতার নাম-ঠিকানা দিলেন। ঠিকানা হাতে পেয়ে তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল যখন তিনি আবিষ্কার করলেন যে, বাকী মার্বেলের ক্রেতা একটি সউদি কোম্পানী।
ড. কামাল সেদিনই সউদি আরবে ফিরে গেলেন। পৌঁছেই তিনি কোম্পানির মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করলেন এবং জানতে চাইলেন, অনেক বছর আগে গ্রীস থেকে ক্রয় করে আনা মার্বেলগুলো দিয়ে তিনি কি করেছেন? তিনি কিছুই মনে করতে পারলেন না। কোম্পানির স্টোর রুমের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাকে বললেন। তিনি তাদের কাছে জানতে চাইলেন, যে সাদা মার্বেলগুলো গ্রীস থেকে আনা হয়েছিল সেগুলো দিয়ে কি করা হয়েছে? তারা জানাল, সেই সাদা মার্বেল পুরোটাই স্টকে আছে, কোথাও ব্যবহার করা হয়নি।
আনন্দে ড. কামাল শিশুর মত ফোঁপাতে শুরু করলেন। কান্নার কারণ জানতে চাইলে পুরো গল্পটি তিনি কোম্পানির মালিককে শোনালেন। ড. কামাল তাকে একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে তার ইচ্ছামত অংক বসিয়ে নিতে বললেন। কোম্পানির মালিক যখন জানলেন এই সাদা মার্বেল মসজিদে নববীর জন্য নেয়া হচ্ছে তখন তিনি এক দিরহামও নিতে সম্মত হলেন না।
কোম্পানীর মালিক বললেন, আল্লাহর কসম যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নাই, আমার কাছে মজুদ সমুদয় মার্বেল আল্লাহর পথে দান করে দিলাম। আল্লাহ তায়ালা আমাকে দিয়ে এটা কিনিয়েছিলেন এবং তিনিই আমাকে এটার কথা ভুলিয়ে দিয়েছেন। কারণ এই মার্বেল রাসূলের (সা.) মসজিদের উদ্দেশ্যেই এসেছে।
সূত্র: মিসরীয় ভূতত্ত্ববিদ ড. যগলূল আন-নাজ্জারের ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/ZaghloolNajjar/posts/859330551171297) থেকে গৃহীত।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- শান্তর মান-ইজ্জত বাঁচালেন উগান্ডার অধিনায়ক
- হজ কাদের ওপর ফরজ, কাদের ওপর নয়?
- গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন
- টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ
- ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ
- দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের অবৈধ প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু
- জলবায়ুর অভিঘাতের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়: পরিবেশমন্ত্রী
- ইয়াবা সেবন করে শিশু-বৃদ্ধদের পেটাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
- দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: এলজিআরডিমন্ত্রী
- দেশে বেকার ২৫ লাখ ৯০ হাজার, পুরুষ বেকার বেশি
- গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আজ
- দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- বাংলাদেশ স্কাউটস দিনাজপুর অঞ্চলের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল
- দিনাজপুরে ফুটেছে নানা রঙের ফুল
- হিলি বন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- সৌন্দর্য ধরে রাখতে নজর দিন সঠিক খাদ্যাভ্যাসে
- রংপুরে র্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি বেরোবি ছাত্রলীগের
- রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
- দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপের মধ্যে আছি: ওবায়দুল কাদের
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
- হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে
- চাকরিতে প্রবেশে বয়সের বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- দাঁতের যন্ত্রণায় আইসক্রিম খেতে পারছেন না?
- ঘোড়াঘাটে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
- রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু মঙ্গলবার