• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অতিরিক্ত খাদ্য আমদানির নির্দেশ

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য আমদানির নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখস ১৯ লাখ ৫০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের ৪/৫ টাকা কমেছে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম থেকে চুক্তি অনুযায়ী খাদ্য আমদানি হবে। এর বাইরে আরও দুই একটি জায়গা থেকে খাদ্য কেনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমরা চেক করে নিয়েছি রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানি করলে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। মিয়ানমার থেকে আসছে আতপ চাল। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ভারত থেকেও চাল কেনার চুক্তি হয়ে গেছে। দুই-একদিনের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্যের বিষয়ে ব্রিফিং করবে। সম্প্রতি চালের দাম ৪-৫ টাকা কমেছে। ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে। এর ফলে একটা বড় সংকট মার্কেট থেকে সরে গেছে। অ্যাপারেন্টলি দেখা যাচ্ছে এটি একটি ভালো ফল দিচ্ছে। যেহেতু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আগামী দুই মাস বা পরে আর দুই, তিন-চার মাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমাদের প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হবে।  

আজকের সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, অলরেডি এটা রিপ্লেস করার মতো চুক্তিও করে ফেলেছে এবং ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। সুতরাং আগামী নভেম্বর থেকে আমরা যে চিন্তা করছি একটা খাদ্য সংকট হতে পারে বিশ্বব্যাপী, আল্লাহর রহমতে আমরা একটা কমফোর্টেবল সিনারিও পেয়েছি। আমাদের ওয়ার্ক অর্ডার এবং খাদ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা এসেছে। রাশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে চাল এবং গম নিশ্চিত হয়েছে।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমদানির পাশাপাশি আমনও চলে আসবে। আমন কম হলেও বড় একটা বড় পোরশন (অংশ) আসবে। সব মিলিয়ে খাদ্য সিনারিওটা আল্লাহর রহমতে কম্ফোর্টেবল হবে। তারপরও আরও দুই-একটা জায়গা থেকে খাদ্য ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে। কোনো রকমের চান্স নেওয়া যাবে না। কোনো কারণে ধরেন দুই-একটা ওয়ার্ক অর্ডার ফেল করে, তাহলে অল্টারনেটিভভাবে অন্য জায়গা থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে আমাদের মজুদ ঠিক রাখা যায়।
 
তিনি বলেন, যে পরিমাণ খাদ্য আমাদের গোডাউন থেকে যাবে, সে পরিমাণ খাদ্য এবং সেফটির জন্য আরও অ্যাক্সেস কেনার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এখন যে চুক্তি বা এমইউ হয়ে গেছে, তার জন্য আর সটেজ হবে না (খাদ্য সংকট হবে না) আল্লাহর রহমতে।  

প্রধানমন্ত্রী খাদ্যের বিষয়ে কী বলেছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ তিনি বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) স্পেসিফিকভাবে (নির্দিষ্টভাবে) বলেছেন আমরা যে খাদ্য রিপ্লেসমেন্ট করছি শুধু সেটার ওপর নির্ভর করা যাবে না। আমরা কমফোর্টেবল সিজন থাকলে আরো দুই-একটা জায়গা থেকে খাদ্য কেনার ইনিশিয়েটিভ নেওয়া হোক। কোনো কারণে আল্লাহ না করুক চারজন বা পাঁচজনের মধ্যে কেউ যদি বলল আমি দিতে পারবো না, তখন যাতে আমরা ঝামেলায় না পড়ি। সুতরাং প্রয়োজন হলো এক্সেস কিছু খাদ্য কিনা, এটা আমাদের জন্য কমফোর্ট সিনারিও হবে।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন বৃষ্টি বা পানিটার সটেজে একটা অ্যাফেক্ট হবে আমন ধানের। তবে আমি নিজে বৃহস্পতিবার ১২-১৩ জন ডিসির সঙ্গে কথা বলেছি, সিলেট থেকে শুরু করে নর্থবেঙ্গল পর্যন্ত। তারা বলেছেন, সম্প্রতি যে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ থাকবে, সেটা থাকছে। সেটার কারণে আমনক্ষেতে সেচ ভালো হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় একটু সমস্যা হচ্ছে, হয়তো খাল-বিলে পানি একটু কম। তবে সুবিধা হলে যেখানে খাল-বিলে পানি কম, সেখানে টি-আমনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –