• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অনলাইনে এবার টিকিটের অভিযোগ পাইনি: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২২  

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, গত ঈদে অনলাইনে (টিকিট প্রাপ্তির বিষয়ে) বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এবার এখন পর্যন্ত সে ধরনের অভিযোগ পাইনি। 

তিনি বলেন, গত বছর অনলাইনে টিকিট পেয়েছেন, এমন কথা কেউ বলেননি। এবার একজন দেখলাম টিভিতে ট্রেনের টিকিট পাওয়ার কথা বলছেন। তবে অনলাইনে কোনো ফাঁকফোকর পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

শনিবার রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক ৫০টি মালবাহী ট্রলি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল অপব্যবহার হচ্ছে; এটা রোধে আমরা কাজ করব।

কাউন্টারে টিকিট না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, চাহিদার তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা কম। মাত্র ৬ হাজার টিকিটের জন্য ২ লাখ মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। অনলাইনে টিকিটের জন্য ৬ কোটি মানুষ প্রতিদিন ওয়েবসাইট হিট করছে। সবাই টিকিট পাবেন না, এটাই তো স্বাভাবিক।

সরকার রেলওয়ের সক্ষমতার বাড়ানার জন্য কাজ করছে বলেও জানান তিনি। 

রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা ১০০টি ব্রডগেজ লোকো আনছি। এছাড়া ২০০টি কোচও আসবে। এসব এ বছরের মধ্যেই আসবে। আমাদের শুধু ট্রেন বাড়ালেই হবে না, অবকাঠামোগত সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।

সরকার রেল খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেলওয়েকে পঞ্চম বৃহত্তম বাজেট ১৯ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।

রেলমন্ত্রী বলেন, এবার গার্মেন্টস কারখানায় একটা স্পেশাল ট্রেন যাবে, যাদের জন্য জয়দেবপুর থেকে টিকেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের ডুয়েলগেজ ৬০টি কোচ আসছে আরো ১০০টি পাইপলাইনে আছে। আমাদের ডাবল লাইন এবং পদ্মাসেতু হয়ে গেলে আমাদের সক্ষমতা আরো বেড়ে যাবে। তখন নিরাপদে সব যাত্রী ট্রেনের মাধ্যমে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, টিকিট প্রত্যাশীদের ভোগান্তি দূর করতে আমরা ৬টি জায়গা থেকে টিকিট বিক্রি করছি। কমলাপুরে রংপুর বিভাগের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাটের টিকিট আর শহরতলী প্লাটফর্মে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের টিকিট বিক্রি করছি। এছাড়া বিমানবন্দরে চট্রগ্রাম ও অন্যান্য বিভাগের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

রেলের যাত্রীদের মালামাল বহনে এক সময় স্টেশনে বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হতে হতো। বিষয়টি উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এক সময়ে স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের মালামাল আনা-নেয়ায় কুলির সিস্টেম ছিল, এখন সেটা নেই। ট্রলির মাধ্যমে লাগেজ-ব্যাগ আনার জন্য অত্যন্ত উন্নতমানের ট্রলি উপহার দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেল মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে চান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রেল মন্ত্রণালয়কে এবার ১৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে কক্সবাজার যাবো (লাইন সম্পন্ন হবে), ঢাকা থেকে ভাঙা যেতে পারব।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার মিজানুর রহমান ভূইয়াসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –