• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আট বছর পর একসঙ্গে ৪ ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিলেন আশা

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২২  

আট বছর পর একসঙ্গে চার ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আদুরী বেগম আশা নামে এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন মেয়ে ও এক ছেলে চার সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর ওই চার নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আদুরী বেগম আশা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের স্ত্রী। তার স্বামী বাঁধন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত।

হাসপাতালের চিকিৎসক শাহী ফারহা জানান, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয় আদুরী বেগম আশার। দীর্ঘ ৮ বছরেও তাদের কোনো সন্তান জন্ম হয়নি। পরে চিকিৎসা গ্রহণের পর আদুরী বেগম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। 

গত ১ মার্চ আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় দেখা যায়, তার গর্ভে ৪টি সন্তান রয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে মঙ্গলবার সকালে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চার সন্তানের জন্ম দেন আশা।

নবজাতকদের বাবা মনিরুজ্জামান বাঁধন বলেন, গত ১ মার্চ আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার স্ত্রী আশা বেগমের গর্ভে একসঙ্গে চার সন্তান রয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফৌজিয়ার অধীনে চিকিৎসা নিই। সন্তান ডেলিভারির দিন এগিয়ে আসায় গত একমাস আগে আমার স্ত্রীকে নিয়ে রংপুরে বাড়ি ভাড়া নেই এবং চিকিৎসকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকি। তাদের পরামর্শে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে স্ত্রীকে ভর্তি করি এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে আমার স্ত্রী একসাথে তিন পুত্র এবং এক কন্যার জন্ম দেন। তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।

এদিকে, চার সন্তানকে দেখতে শিশু ওয়ার্ডে ভিড় জমিয়েছেন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগী এবং অভিভাবকরা। তাদের প্রত্যাশা, সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক চারজন। 

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (গাইনি বিভাগ) ডা. ফারহানা ইয়াসমিন ইভা জানান, গর্ভধারণের ৩২ সপ্তাহে চার নবজাতকের জন্ম হওয়ায় তিন কন্যা শিশুর ওজন ও গঠন ঠিক থাকলেও ছেলে নবজাতকটির ওজন মাত্র সোয়া এক কেজি। তবে নবজাতক চার শিশু সুস্থ আছে। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রসূতিকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –