• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইতিহাসের নীরব সাক্ষী জবির গুচ্ছ ভাস্কর্য

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮  

২৫ মার্চ ১৯৭১। ওইদিন রাতে ঢাকায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকস্তানি হানাদার বাহিনী। এই গণহত্যার নীরব সাক্ষী হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে আছে দেশের একমাত্র গুচ্ছ ভার্স্কয - ৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাধারণ মানুষদের ধরে এনে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ভেতরে সারিবব্ধভাবে দাঁড় করিয়ে হত্যা করে পাক বাহিনী। গণকবর দেয়া হয় সেসব লাশের। সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের স্মারক হিসেবে গণকবরের ওপর এ ভার্স্কয নির্মাণ করেন ভাস্কর রাশা।

এ ভার্স্কযে মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যা ও যুদ্ধের প্রস্তুতির দুটি চিত্র উপস্থাপন করেছেন রাশা। ১৯৮৮ সালে শুরু হওয়া এ ভাস্কর্যের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯১ সালে।

২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটু এগিয়ে গেলে নতুন ভবনের সামনে স্থাপিত এ ভার্স্কযটি চোখে পড়ে। এর একটি অংশে সবচেয়ে বেদনাদায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ২৫ মার্চের কালরাতকে।

ভাস্কর্যের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাহসী এক কৃষকের ছেলে। তার চোখে যুদ্ধজয়ের নেশা। এছাড়া সবার মাথা সোজা, মুখ লাল বর্ণের। চোখে প্রতিশোধ স্পৃহার ছাপ। আবার অন্যদিকে গণহত্যার দৃশ্যের রঙ ধূসর, কারণ এটি আমাদের বেদনাদায়ক স্মৃতি। ভাস্কর্যের নিচে রয়েছে পানি যা দিয়ে নদীমাতৃক বাংলাদেশকে বোঝানো হয়েছে।

পানির ভেতরে রয়েছে বাংলা র্বণমালা, যা দিয়ে ভাষা আন্দোলনের চেতনা তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার মাটি, মানুষ আর ভাষা একাকার হয়ে আছে এ ভার্স্কযে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –