• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

এশিয়ায় শকুন রক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শকুন রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে। দেশে ২০১০ সালে শকুনের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর আরেকটি ক্ষতিকর ওষুধ কিটোপ্রফেন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

শনিবার বন অধিদফতরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, মেলোক্সিক্যাম ও টলফামেনিক এসিডের ব্যবহার শকুন রক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। সব ওষুধ কোম্পানিকে কিটোপ্রফেন উৎপাদন ও বিপনন বন্ধে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে। শকুন সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদী বিজ্ঞানভিত্তিক যেকোনো পরিকল্পনা তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি গঠন, সরকারিভাবে দুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা এবং ১০ বছর (২০১৬-২০২৫) মেয়াদি বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা দেশের শকুন রক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনার অনেক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। বাকি কার্যক্রমগুলোও সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ৭ম ও ৮ম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির সভায় সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যকরী সিদ্ধান্ত শকুন সংরক্ষণে মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। শকুনের ডানায় লাগানোর জন্য লাল-সবুজ পতাকার আদলে বিশেষ ট্যাগ তৈরি করা হয়েছে। এ বছর স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শকুনের গায়ে ট্যাগ লাগানোর পরিকল্পনা আছে। এ কার্যক্রম দেশে শকুন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে শকুন রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন জীবন ফাউন্ডশেনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –