• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ২১৬

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯  

কুড়িগ্রামে টানা পাঁচ দিনের শৈত্য প্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মেলায় তাপমাত্রা নিম্নগামীই থেকে যাচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।

গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে শিশু ও বৃদ্ধসহ ছিন্নমূল মানুষের। ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২১৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১৪ জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন।

ঠান্ডায় দুর্ভোগ বেড়েছে চরাঞ্চলের মানুষের। এ অবস্থায় এখানকার মানুষ খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গরম কাপড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধসহ চরাঞ্চলের মানুষেরা। কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগ বেড়েছে এখানকার শ্রমজীবী মানুষের।

কুড়িগ্রাম জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর, ফুলকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় চার শতাধিক চরাঞ্চল রয়েছে। এখানকার হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষেরা তীব্র শীতে কষ্টে করলেও সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীত বস্ত্র বিতরণের তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

কনকনে ঠান্ডায় দরিদ্র মানুষেরা জবুথুবু হয়ে দিন পাড় করলেও সরকারি পর্যায়ে শুরু বেসরকারি ভাবে শীত বস্ত্র বিতরণের তৎপরতা তেমন নেই। এসব এলাকার মানুষ ছোট ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীন জানান, কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ৫১ হাজার ৫১৪টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো বরাদ্দের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রোববার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –