কুড়িগ্রামে মাওলানা ভাসানীর বাড়ি পড়ে আছে অযত্নে
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একটি বাড়ি রয়েছে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামে। মাওলানা ভাসানীর স্মৃতি বিজরিত এই বাড়িটি নিয়ে গৌরব করেন এলাকাবাসী ও তাঁর পরিবার। ‘ভাসানী নগর’ নামে পরিচিত এই বাড়িটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসেন। তবে সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে কৃষক আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা মাওলানা ভাসানীর অনেক স্মৃতি। অযত্নে আর অবহেলায় পড়ে আছে এই ভাসানীর এই বাড়িটি।
মাওলানা ভাসানীর নাতি মনিরুজ্জামান খান ভাসানী। ভাসানীর ছেলে আবু বকর খান ভাসানীর ছেলে। মনিরুজ্জামান জানান, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় ভারতের আসাম সীমান্তবর্তী এলাকা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে এই বাড়ি নির্মাণ করেন মাওলানা ভাসানী। দুই স্ত্রীর একজন হামিদা খানমকে এই বাড়িতে রেখে যান। হামিদা খানম ছিলেন তাঁর ছোট স্ত্রী। মাঝে মাঝে এই বাড়িতে আসতেন, যেতেন। তবে ১৯৬৫ সালের ভুরুঙ্গামারীতে কৃষক সন্মেলনকে কেন্দ্র করে তিন মাস এই বাড়িতে ছিলেন ভাসানী। এসময় তিনি দরবার হল, মুসাফির খানা, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল ও দিঘি গড়ে তোলেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকার কারণে পরিবারকে বেশি সময় দিতে পারেননি। তবে মাঝে খোঁজ নিতেন। স্ত্রী ও সন্তানদের টাঙ্গাইল নিয়ে যেতেন। হামিদা খাতুন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি এখানে বাস করতেন।
বাড়িটিতে অনেক সময় ভক্ত ও কর্মীরা আসতেন। রাত্রিযাপন করতেন। তাদের থাকার জন্য একটি দরবার হল নির্মাণ করেন তিনি। রাজনৈতিক সভা ছাড়াও ভক্তদের দেখা সাক্ষাৎ করতে এই দরবার হলে। টিনের তৈরি বর্তমানে এই ঘরটি জরাজীর্ণ অবস্থায় বহন করছে স্মৃতি। পাশে একটি পুকুর তিনি নিজেই খুঁড়েছেন।
এই বাড়িতে এসেছেন হাজী দানেশ, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, রাশেদ খান মেনন, শামসুল হক চৌধুরীসহ অনেক নেতা। এই বাড়িকে ঘিরেই ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত হয়। ১৯৭৬ সালে সর্বশেষ সীমান্ত সফরে এসে মাওলানা ভাসানী এই বাড়িতে এসেছিলেন।
মাওলানা ভাসানীর ছেলে আবু বকর খান ভাসানীর তিন ছেলে। এর মধ্যে স্ত্রী বিউটি বেগম ও ছেলে মেহেদী খান ভাসানীকে নিয়ে ভুরুঙ্গামারীর বাড়িতে বাস করেন তাঁর বড় ছেলে মনিরুজ্জামান খান ভাসানী। এ ছাড়া ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি হাসরত খান ভাসানী, আর ছোট ছেলে ও আজাদ সোবহান খান ভাসানী টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তারা টাঙ্গাইলের বাড়িতে থাকেন।
ভুরুঙ্গামারীতে ভাসানী ৪২ বিঘা জমি রেখে যান। এর মধ্যে হামিদা খানমের নামে একটি স্কুলের নামে দান করেছেন বেশ কিছু জমি। ভাসানী স্মৃতিসংঘ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে উইল করা আছে কিছু সম্পত্তি। বাড়ি ও পুকুরে আছে সোয়া ১২ বিঘা জমি। ফসলি জমি আছে ২০ বিঘা। বাড়িতে রয়েছে মাওলানা ভাসানীর ব্যবহৃত কিছু স্মৃতিচিহৃ। রয়েছে বসার চেয়ার, টুপিসহ কিছু দ্রব্য।
ভাসানীর স্মরণে স্মৃতি সংঘ থাকলেও কার্যক্রম সীমিত। বছরে একবার ওরস শরীফ হয়। ভাসানী পীর হিসেবেও সমধিক পরিচিত। অনেক ভক্ত রয়েছে তাঁর। তারা আসতেন, নানা বিষয়ে পরামর্শ নিতেন। ভক্ত ও সহচর মুছা ফকিরের কবরও রয়েছে এখানে। তার বাড়ি ছিল গাইবান্ধা। তিনি দীর্ঘদিন এই বাড়িতে বাস কওে ৮০ সালের দিকে মারা যান।
স্থানীয় গ্রামবাসী ভাসানীর স্মৃতি ধরে রাখতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ভাসানীর নাতি মনিরুজ্জামান জানান, ভাসানীর নামে জাদুঘর ও পাঠাগার নির্মাণসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা তার আদর্শ ধরে রাখার চেষ্টা করলেও অর্থ ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ভাসানীর স্মৃতি ধরে রাখা যাচ্ছেনা।
স্মৃতি বিজরিত বাড়িটি রক্ষার দাবী জানিয়ে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ভাসানীর বাড়িটির সংস্কার করলে এটি একটি পর্যটন স্পট হিসেবে চিহিৃত হবে এবং শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রয়োজন মেটাবে।’
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- এক সপ্তাহ পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- মধ্যরাতে পুড়ল ১১ দোকান, যেভাবে লাগে আগুন
- খড়ি শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
- গোসল করে জুমার নামাজ পড়া হলো না মুরাদের
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- রাজশাহীর আম দেখতে আসবে চীনের প্রতিনিধিদল: কৃষিমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আ’লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধ আহত, তিনটি গবাদিপশুর মৃত্যু
- হিলিতে প্রথমবার কিনোয়া ও চিয়া সিড চাষাবাদ
- কাহারোলে বোরো সংগ্রহের উদ্বোধন
- হাকিমপুরে খেলার সময় ডোবায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
- তালের শাঁসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
- অবসরের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রি
- সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম: মিষ্টি জান্নাত
- কোরআন-হাদিসে মায়ের অধিকার
- আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ হবে ২৫ শতাংশ
- কৃষি নিয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী
- ‘সরকার-নাগরিক পার্টনারশিপ হলে নগরের সমস্যা দূর হবে’
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার
- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র’
- ওজন কমাতে চাইলে যে ৪ ফল খাবেন
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালুর তারিখ জানালেন রেলমন্ত্রী
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৩ প্রার্থী
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- বিশ্বকাপের টিকিট পেতে পারেন যে ১৫ ক্রিকেটার
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- বিরলে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধ আহত, তিনটি গবাদিপশুর মৃত্যু