ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প: ‘মেড ইন জিনজিরা’ এখন দেশের গর্ব
প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প: ‘মেড ইন জিনজিরা’ এখন দেশের গর্ব
প্রায় ৭০ বছর আগে রুটি ভাজার কড়াই (তাওয়া) তৈরির কারখানা দিয়ে শুরু। তা ঘিরে গড়ে উঠতে শুরু করে ছোট বড় বিভিন্ন কারখানা। পরে এলাকাটির নাম হয়ে ওঠে তাওয়াপট্টি। এখানকার কারখানায় তৈরি হয় নানা যন্ত্রাংশ। কারিগরদের দক্ষতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কোনো যন্ত্রাংশের নমুনা দিলে, তা হুবহু তৈরি করতে পারেন তারা।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরঘেঁষে রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প এলাকাটির নাম জিনজিরা তাওয়াপট্টি। এক সময় পণ্যের গুণগত মান সামান্য খারাপ বা একই রকম (নকল) হলেই ‘মেড ইন জিনজিরা’ বলে উপহাস করা হতো। তবে এখানে তৈরি যন্ত্রাংশ টেকসই ও মানসম্মত হয়ে ওঠায় সেই উপহাস এখন অহঙ্কারে পরিণত হয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষের।
জিনজিরা এলাকা এখন ‘বাংলার চীন’, ‘বাংলার জাপান’ বা ‘মেড ইন জিনজিরা’ নানান বিশেষণে পরিচিত। করোনা মহামারীর ধকল কাটিয়ে নিজেদের প্রচেষ্টায় টিকে আছে ছোট ছোট টিনের ঘরের এসব কারখানা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনীয় সরকারি সুবিধা পেলে এখানকার তৈরি যন্ত্রাংশ বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব।
তাওয়াপট্টির কারখানাগুলোতে নাট-বল্টু, ওয়াসা, স্প্রিং, দরজার কবজা, ছিটকিনি, বার্নার, ক্যালাম, টোপ ওয়াসার, প্ল্যানজার, কলের বাকেট, হ্যাশবল, তালা, শাটার স্প্রিং, স্ক্রু, রিপিটসহ সব ধরনের হার্ডওয়ার সামগ্রীসহ গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি হয়। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মেশিনে উৎপাদিত হয় এসব যন্ত্রাংশ। কাঁচামালও আমদানি করতে হয় না তাদের। জাহাজ ভাঙার স্ক্র্যাপ, বিভিন্ন শিল্পকারখানা, রোলিং মিল, নির্মাণাধীন স্থাপনার বাতিল লোহা ও শিট সংগ্রহ করে সেগুলো থেকে নানা যন্ত্রপাতি তৈরি করেন তারা।
এখানকার যন্ত্রাংশের বেশ চাহিদাও রয়েছে। রাজধানীর নয়াবাজার, ধোলাইখাল, চকবাজার, নবাবপুরসহ বিভিন্ন মার্কেটের দোকানদারদের মাধ্যমে সারাদেশে সরবরাহ করা হয় এসব যন্ত্রাংশ।
কারখানার ব্যবসায়ীরা জানান, এক সময় রিপিট তৈরির অটোমেশিন জাপান থেকে আমদানি করতে হতো। তখন একটি মেশিনে খরচ পড়ত ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা। কিন্তু তাওয়াপট্টির কারিগররা সেই মেশিন মাত্র আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকায় তৈরি করছেন। এ ছাড়া স্প্রিং তৈরির মেশিন ভারত থেকে আনতে খরচ হয় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। তাওয়াপট্টিতে একই মেশিন তৈরি হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়।
মুজিবর নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘তাওয়াপট্টির কারিগরদের নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। কাজ করতে করতেই তারা একসময় দক্ষ হয়ে ওঠেন। আমাদের কারিগররা যে কোনো যন্ত্রাংশ দেখলে হুবহু তৈরি করে দিতে পারেন। অনেকেই এটাকে নকল বললেও এটা নকল নয়, অনুকরণ। এখানকার যন্ত্রাংশ আমদানীকৃত যন্ত্রাংশের চেয়ে দামে কম, তবে মানের দিক দিয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
১৬ বছর ধরে মামার লেদমেশিনে কারিগরের কাজ করেন হৃদয়। তিনি বলেন, ‘এখানে যন্ত্রাংশ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মেশিন। যে মেশিন দিয়ে কাজ করি এটা আমার মামার বানানো। যে কোনো ধরনের মেশিন বা তার যন্ত্রের স্যাম্পল (নমুনা) দিলে এখন আমি নিজেই তৈরি করে দিতে পারি। মামার কাছ থেকে দেখে দেখে কাজ শিখে নিয়েছি।’
তাওয়াপট্টির ব্যবসায়ীদের অভিযোগ- করোনা মহামারীর বিরাট ধাক্কা নিজেদেরই সামাল দিতে হয়েছে। তারা জানান, ১৯৮৮ সালে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মওদুদ আহমেদ এই ক্ষুদ্র শিল্প এলাকাটি পরিদর্শন করেন। ওই সময় বিসিকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের এক কোটি টাকার মতো ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। সেই ঋণ পরে যথাযথভাবে পরিশোধ করা হলেও আর কোনো ঋণ সুবিধা পাননি তারা।
তাওয়াপট্টি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সমবায় সমিতির সভাপতি আক্তার জিলানী খোকন বলেন, ‘জিনজিরার তাওয়াপট্টি আজ দেশ ও জাতির গৌরব। করোনার পর অনেক কারখানা লোকসানের শিকার হয়ে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সহজ শর্তে ঋণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পেলে আমাদের তৈরি যন্ত্রাংশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়- সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধাই আমরা পাচ্ছি না।’
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- উপজেলা নির্বাচন: অভিযোগ জানানো যাবে ৯৯৯-এ
- কখন আঘাত হানবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রোমাল, জানা গেল
- ভাঙ্গা থেকে যশোর নতুন রেললাইন চালু অক্টোবরে: রেলমন্ত্রী
- গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১৭
- ‘একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে’
- সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী
- টেকসই নগরায়ণে সরকার বদ্ধপরিকর: এলজিআরডিমন্ত্রী
- ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এক সপ্তাহ পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- মধ্যরাতে পুড়ল ১১ দোকান, যেভাবে লাগে আগুন
- খড়ি শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
- গোসল করে জুমার নামাজ পড়া হলো না মুরাদের
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- রাজশাহীর আম দেখতে আসবে চীনের প্রতিনিধিদল: কৃষিমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আ’লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধ আহত, তিনটি গবাদিপশুর মৃত্যু
- হিলিতে প্রথমবার কিনোয়া ও চিয়া সিড চাষাবাদ
- কাহারোলে বোরো সংগ্রহের উদ্বোধন
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার
- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র’
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- ওজন কমাতে চাইলে যে ৪ ফল খাবেন
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালুর তারিখ জানালেন রেলমন্ত্রী
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৩ প্রার্থী
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- বিশ্বকাপের টিকিট পেতে পারেন যে ১৫ ক্রিকেটার
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল