• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

খানসামায় সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য পেয়ে স্বস্তির হাসি

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২২  

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন মানুষের নাভিশ্বাস, ঠিক তখন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার নিম্নবিত্ত মানুষের মাঝে একটু হলেও স্বস্তি নিয়ে এলো ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এই সরকারি সংস্থাটি স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে নিম্নবিত্তদের মধ্যে। আর ওই পণ্য কিনতে পেরে খুশি তারা।

লাইনে দাঁড়ানো বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। কিছু সময় পরপর ওই লাইন থেকে সয়াবিন তেলের বোতল, চিনি ও মসুর ডালের প্যাকেট নিয়ে বেরিয়ে আসছেন একেকজন। দিচ্ছেন স্বস্তির হাসি। আর হাসবেই না কেন? কারণ এই টানাপোড়নের বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারাটা নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে অনেক বড় পাওয়া।

শুক্রবার সকালে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে টিসিবির পণ্য কিনতে সারিতে দাঁড়িয়ে মানুষ। এই সময় কার্যক্রম পরিদর্শন করে এবং উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলে টিসিবির পণ্য তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও আঙ্গারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ্, সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী।

ওই এলাকার টিসিবির পণ্য কিনতে আসা জামিলা খাতুন বলেন, আমরা যা রোজগার করি তা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্টসাধ্য, তার মধ্যে জিনিসপত্রের দাম এখন বাড়তি। জিনিসপত্রের দাম বাড়তি থাকলেও আমাদের কাজের দর খুবই কম। কম দামে পণ্য পেয়ে অনেকটা ভালোই লাগছে।

আঙ্গারপাড়া গ্রামের নদীপাড়া এলাকার সাত্তার আলী বলেন, টিসিবি থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে ২ লিটার সোয়াবিন তেল, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল এবং ৫৫ টাকা দরে ২ কেজি চিনি কেনার সুযোগ পাচ্ছি। রোজার সময় নাকি এর সাথে ২ কেজি করে ছোলাও দিবে। এই পণ্য কিনে তো আমাদের প্রায় ২০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এতেই আমরা খুশি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার বলেন, উপজেলাজুড়ে ২০,৭৬৪ পরিবারে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের জন্য ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছি। ইতোমধ্যে দুটি ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম পর্যায়ের পণ্য বিতরণ কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন করতে পারব। তবে উপকারভোগীদের তালিকা পুরো নিষ্ঠার সঙ্গে একটি ডাটাবেজে আনতে পারলে বিতরণ কার্যক্রম আরও সুন্দরভাবে করতে পারব।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –