• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ইস্যুতে নীরব বিএনপি

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২  

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে সরকার। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রায় ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিল। বরাদ্দ দেওয়া হয় খাদ্য, নগদ অর্থ, পশুখাদ্য ও শুকনো খাবার। প্রতিনিয়ত ঝড়ের খোঁজ-খবর রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। কিন্তু বিএনপি নীরব ভূমিকা পালন করে।

এদিকে, মনিটরিং সেল গঠন করে সরকারি দলের দায়িত্বশীল এমপি-মন্ত্রীরাও খোঁজ-খবর নেন। ঝড় থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় দলীয় কর্মীদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সরকার এত প্রস্তুতি নেয়ার পরও দেশ ও দশের বিপর্যয়ে নীরবতা পালন করে বিএনপি। গত ২৪ অক্টোবর উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের রক্ষায় কোনো পদক্ষেপই নিতে দেখা যায়নি দলটিকে। শুধু লোক দেখানো একটি বার্তা দিয়ে দলীয় কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে দায় সারে বিএনপি। 

অন্যদিকে গুঞ্জন উঠেছে, উপকূলীয় এলাকায় বিএনপির ভোট কম থাকায় প্রতিবারের মতো এবারো ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে ততটা চিন্তা করেনি দলটি। দলটির ভাষায়- সিত্রাংয়ের ক্ষতি মোকাবিলার দায়িত্ব সরকারের, বিএনপির নয়। যার কারণে উপকূলীয় এলাকায় বিএনপির তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। উপকূলীয় জেলা খুলনা, বরগুনা, সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি মোকাবিলায় বিএনপি নেতারা নীরবতা পালন করেন।

ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপি জনগণের পাশে নেই কেন? জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, আমরা উপকূলীয় অঞ্চলের নেতাদের তাগিদ দিয়েছি। তারা যেন জনগণের পাশে দাঁড়ান। আমরা খোঁজ নিয়েছি। সত্যি বলতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে মানুষ অসহায়। এছাড়া মৃত্যুভয় তো থাকেই। এখন সম্ভব না হলেও পরবর্তী সময়ে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –