• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চিলমারীতে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১  

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা ইট ভাটায় ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় নেয়া হচ্ছে। জমির উপরের অংশ অর্থাৎ টপ সয়েল ইট ভাটায় যাওয়ায় জমির উর্বরতা হারাচ্ছে। এতে করে শত শত একর জমি অনাবাদি হয়ে পড়ায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলায় আমন মৌসুমে ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে একযোগে শুরু হয়ে যায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়ার হিরিক। ইট ভাটার মালিক ও কিছু অসাধু মাটি ব্যবসায়ী কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে শ্রমিক কিংবা মেশিন দিয়ে দেদারচ্ছে মাটি কেটে ট্রাক্টর ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট ভাটায়।

সরজমিনে দেখা গেছে, চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭টি ও সীমান্তঘেঁষে উলিপুর উপজেলার আরও ৬টি ইট ভাটা রয়েছে। উপজেলার হারিয়ার ছড়া, ব্যাপারীর বাজার, ঘুঘুর হাট, চাছলার বিল, রাণীগঞ্জ, কয়ারপাড়, তিস্তার পাড়া, পুটিমারী, মজাইডাঙা, মাইলডাঙ্গা, মাটিয়ালসহ শতাধিক জায়গা থেকে ফসলি জমির মাটি ২-৬ ফুট পর্যন্ত কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মজাইডাঙ্গা এলাকার কৃষক সাজু মিয়া জানান, ২ বছর আগে আমার একটি জমি থেকে ৪ ফুট গভীর করে ভাটায় মাটি বিক্রি করে দিয়েছি। এ পর্যন্ত ওই জমিতে কোন ফসল উৎপাদন হয় নাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইটভাটার মালিক বলেন, অধিকাংশ ভাটা মালিকই এখন কৃষিজমির ওপর নির্ভরশীল। এর বাইরে মাটির কোনো উৎস পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, জমির উপরিভাগই হচ্ছে জমির প্রাণ। মাটি উত্তোলনের ফলে জমির উপরিভাগে মাটিতে থাকা জিপসাম ও দস্তা অন্যত্র চলে যাচ্ছে। তাছাড়া মাটিতে যে জীবাণু থাকে এবং অনুজীবের কাযার্বলী রয়েছে তা সীমিত হয়ে আসছে। ফলে জমিতে ফসল উৎপাদন দীর্ঘমেয়াদী কমে যাচ্ছে। আমরা কৃষি জমির মাটি বিক্রির ক্ষতিকারক দিকগুলো কৃষকদের বুঝানোর চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –