• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জনপ্রিয় হচ্ছে পারিবারিক পুষ্টিবাগান

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩  

পরিবেশবান্ধব, রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ছাড়াই পুষ্টি নিরাপত্তায় মডেল বাগান করেছেন দিনাজপুরের বিরলের গিরিধরপুর গ্রামের কৃষকরা। কীটনাশক ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে বিষ টোপ, আঠার ফাঁদ এবং নেট হাউসের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি, ফল, ভেষজ ও মসলা চাষ হচ্ছে এসব বাগানে। বসতবাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে তৈরি হওয়া পারিবারিক সবজি ও পুষ্টি বাগান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাড়ির আঙিনা ও আশপাশের পতিত জমিতে সবজি চাষ করে যেমন পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে তেমনি চাষিরা আর্থিক লাভবানও হয়েছে। কৃষি বিভাগের সহায়তায় তৈরি হওয়া এসব পারিবারিক পুষ্টি বাগান দেখে বিরল উপজেলায় অনেকেই এখন ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন সবজি-পুষ্টি বাগান। এতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

প্রত্যেক কৃষক জানায়, নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ ছাড়াও আর্থিকভাবে লাভবান হতে পেরেছেন অল্পদিনেই।

বিরল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানায়, কৃষি উন্নয়নের মধ্যে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় বিরল উপজেলার ধামইর ইউপির গিরিধরপুর গ্রামের কৃষকদের মধ্যে ৭৮ জন কৃষককে নিজের বাড়ির আশপাশে সবজি-পুষ্টি বাগান স্থাপনের লক্ষ্যে পুঁইশাক, কলমিশাক. ডাঁটা, বেগুন, মুলা, বরবটি, ঝিঙ্গা, পালংশাক, লাউ, শিম, মিষ্টি কুমড়া, করলাসহ ২১ জাতের সবজির উন্নতমানের বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। চাষাবাদের জন্য জৈব ও রাসায়নিক সার এবং বেড়া বাবদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সবজি চাষ সম্ভব এমন রৌদ্রোজ্জ্বল স্থান নির্বাচন করে বাগানের আশপাশে বেড়া দিয়ে কৃষক তৈরি করেছেন আকর্ষণীয় সবজি-পুষ্টি বাগান। নিরাপদ সবজির বাগানে দেখা যায় খেতের মাঝে কীটপতঙ্গ দমন পদ্ধতি হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে সেক্সফেরোমন ফাঁদ। এতে প্লাস্টিক বক্স ব্যবহার করা হয়। সেক্সফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করায় জমির ফসল নিরাপদ থাকে এবং রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে জৈব সার ও কেঁচো সার। এতে খাদ্যমান ও পুষ্টি সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পতিত জায়গায় কৃষি বিভাগের সহায়তায় বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ করেছি। বাগানের চারদিকে দেশীয় ফলদ গাছে পরিপূর্ণ তবুও মধ্যখানে লাল ও সরিষা শাক, ধনিয়া পাতা ও মসলা জাতীয় গাছ রোপণ করেছি। খরচ তেমন একটা নেই তবুও বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করতে পারছি।

বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য বিরলের গিরিধরপুর গ্রামকে বেছে নিয়েছি। নিরাপদ সবজি উৎপাদনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান, উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –