• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জিপিএ-৫ পেলেন যমজ তিন ভাইবোন

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৩  

       
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় যমজ তিন ভাইবোন এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তারা। জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা হলেন, ভাই লাসার সৌরভ মুরমু ও দুইবোন মেরি মৌমিতা মুরমু, মারথা জেনিভিয়া মুরমু। তিন ভাইবোনের মধ্যে লাসার সৌরভ মুরমু ইঞ্জিনিয়ার এবং দুইবোন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন।

বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রায়াগপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। বাবা জোহানেস মুর্মু ও মা সোহাগীনি হাসদার তিন যমজ সন্তান তারা। বাবা উত্তরবঙ্গ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প নামের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন এবং মা সোহাগীনি হাসদা গৃহিনী।

শুক্রবার এসএসসির ফল ঘোষণা করা হয়। মা সোহাগীনি হাসদার বলেন, ‘২০০৬ সালের এগারো সেপ্টেম্বর পার্বতীপুর একটি মিশন হাসপাতালে সকাল ১০টার দিকে লাসার সৌরভ মুরমু জন্ম নেয়। একইদিন বেলা ১টার দিকে দুই বোন মারথা জেনিভা মুরমু এবং মেরি মৌমিতা মুরমু জন্ম নেয়। ছোটবেলা থেকেই তারা তিন ভাইবোন পড়াশোনায় অনেক মনোযোগী ছিল।’

‘২০১৭ সালে বিরামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাইলট উচ্চ বিদ্যায়ে ভর্তি হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলেও এবার তারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনজনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক সৌভাগ্যের বেপার।’
 
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েদের সাফল্যে আমরা অনেক খুশি। মেয়ের স্বপ্ন রয়েছে বড় হয়ে ডাক্তার হওয়া আর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন পূরণের জন্য। এ জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।’

মেরি মৌমিতা মুরমু বলেন, ‘আমরা তিন ভাইবোন একসঙ্গেই পড়াশোনা করি। আমরা এমন ফলাফলে অনেক খুশি। আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছে আমাদের ‘মা’। বাবার উৎসাহে আমাদের অনুপ্রেরণা ছিল। আমরা একটি প্রাইভেট পড়তাম। মা একটি বাটন ফোন ব্যবহার করতেন। আমরা কোনো ফোন ব্যবহার করতাম না। ক্লাসে আমাদের পাশাপাশি রোল ছিল। শিক্ষকরা আমাদের অনেক উৎসাহ দিতেন।’

জানতে চাইলে বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন বলেন, ‘এবার এসএসসি পরীক্ষায় একই পরিবারের তিন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে আমাদের বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক বেশ খুশি। আমি দোয়া করি তারা ভালোভাবে পড়ালেখা করে তাদের স্বপ্ন পূরণ করুক। সৃষ্টিকর্তার কাছে এই কামনাই করি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে আমাদের উপজেলায় এ রকম একটি ফলাফল করেছে একই পরিবারের তিন যমজ ভাইবোন। উচ্চ শিক্ষার জন্য উপজেলা প্রসাশনের কোনো সহায়তা লাগলে আমরা সেই বিষয়টি নজর দেবো।’

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –