• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

টাকা ফেরত না দেওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২২  

ডিজিটাল ই-কমার্সের প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, পণ্য দেওয়ার নাম করে গ্রাহকদের কাছে থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে ফেরত দেয়নি যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, তাদের বিরুদ্ধে আগামী এপ্রিল মাসেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরইমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। 

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি এসব কথা জানান। শ্রেষ্ঠ ডটকম ও আলিফ ওয়ার্ল্ড নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এসময় শ্রেষ্ঠ ডটকমের ১১ জন গ্রাহকের ১৭ লাখ টাকা এবং আলিফ ওয়ার্ল্ডের ২১ জন গ্রাহকের ২৬ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে সফিকুজ্জামান বলেন, এরইমধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান আবার ব্যবসা চালু করতে তাদের কাছে আটকে থাকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছে। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রাহকদের তালিকা তৈরি করেছে এবং তা পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে। 

তিনি বলেন, এছাড়া যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়নি তালিকা করা হয়েছে। তাদেরকে ৩১ মার্চের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যারা ইতিবাচক মনোভাব না দেখাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ডিজিটাল ই-কমার্সের প্রধান বলেন, প্রায় ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ লুকিয়ে আছেন। আবার ভয়ভীতির কারণে কেউ কেউ সার্ভিসে আসতে চান না। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, তাদের আমরা আহ্বান করেছিলাম ৩১ মার্চের মধ্যে আপনারা আসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল কমার্স সেল এবং ই-ক্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা আপনাদের সাহায্য করব। 

কিন্তু দেখছি অনেক প্রতিষ্ঠানই আসছে না। তাই তাদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুযোগ দিতে চাই। এর মধ্যে যারা বিজনেসে ফিরে আসার জন্য টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখাবে না, তাদের তালিকা পুলিশের হেডকোয়ার্টারসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে দেব। একইসঙ্গে পেমেন্ট গেটওয়েগুলোকে আমরা নির্দেশনা দেব তাদের গেটওয়েতে যাদের টাকা আটকে আছে সাতদিনের মধ্যে যেন গ্রাহকদের অনুকূলে পাওনা চলে যায়। 

তিনি আরো বলেন,আমরা দেখেছি ৩৪-৩৫টির মতো প্রতিষ্ঠান আছে যারা হয়তো গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারবে। আমরা বলতে চাই, গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতেই হবে। সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সহায়ক ভূমিকা রাখতে চেয়েছে, যাতে সে কামব্যাক করতে পারে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –