• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ডিজিটাল উদ্যোগের পেছনে রয়েছে জয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

ডিজিটাল উদ্যোগের পেছনে রয়েছে জয়: প্রধানমন্ত্রী                   
একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এই সব স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবল বা কম্পিউটার ট্রেনিং সবকিছুই তার ধারণা। সে আমাকে সহায়তা করছে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন তিনি। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের ভারত সফরকে সামনে রেখে এই সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এএনআই নিউজের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হয় ৪৬ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের এই সাক্ষাৎকার। ইউটিউবে প্রকাশ করা হয় প্রিমিয়ার ভিডিও হিসেবে।

ছেলের রাজনীতিতে আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শেখ হাসিনা জানান, তার সরকারের অনেক ডিজিটাল উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মস্তিষ্ক। জয় রাজনীতিতে যোগ দেবেন কি না সে সিদ্ধান্ত তার এবং দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।

সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী এএনআই সম্পাদক স্মিতা প্রকাশকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, ‘দেখুন… সে এখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তাই এটা তার ব্যাপার, কিন্তু সে দেশের জন্য কাজ করছে। আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এই সব স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবল বা কম্পিউটার ট্রেনিং সবকিছুই তার ধারণা। সে আমাকে সহায়তা করছে। কিন্তু সে কখনোই দল বা মন্ত্রিত্বের কোনো পদ নেওয়ার বিষয়ে ভাবেনি। এমন কিছু সে কখনও করেনি।’

এসময় দলের একটি অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। সেই সময়ে জয়কে একটি ভূমিকা নেওয়া উচিত বলে কর্মীদের কাছ থেকে প্রচণ্ড দাবি উঠেছিল। সে বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমনকি আমাদের পার্টি কনফারেন্সেও তার জন্য ব্যাপক চাহিদা ছিল। তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এবং মাইক্রোফোনে কিছু বলতে বলেছিলাম। সে সময় সে বলেছিল, ‘আমি কোনো পদ চাই না। এই মুহূর্তে যারা দলে কাজ করছে তাদের এই পদ পাওয়া উচিত। আমি কেন একটি পদে আসবো। আমি আমার মায়ের সাথে আছি, আমি দেশের জন্য কাজ করছি এবং তাকে সহযোগিতা করছি’। সে এভাবেই ভাবে। তাই বিষয়টি এমন নয় যে, তাকে আমার তৈরি করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত সেই নেবে। বিষয়টি নির্ভর করবে পাবলিক ডিমান্ডের ওপর।’

দুই সন্তানের মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বড়। প্রধামন্ত্রীর ছোট সন্তান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

প্রশ্নের এক পর্যায়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ‘এক্সট্রিমিজম’ ছড়ানো দায় বাংলাদেশের ব্লগারদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হলে সরকার প্রধান সাফ জানিয়ে দেন, ভারতসহ বিশ্বের সব খানেই এক্সটিমিজম রয়েছে। যেহেতু সোশ্যালমিডিয়া খুবই ভাইব্রান্ট অবস্থায় রয়েছে, তাই কেউ কেউ ইচ্ছেমতো লিখেন। তবে কেবল ব্লগাররা (ইসলাম ধর্ম নিয়ে) লিখেন এমনটা নয়; অন্য ধর্মের বা সংখ্যালঘুরাও লেখেন। তবে এটা নিয়ন্ত্রণে আমরা সর্বচ্চ সতর্ক। আমরা কখনোই তাদের সমর্থন করি না। আমি মনে করি প্রত্যেক ধর্মের মানুষেরই যথাযথভাবে তার ধর্ম নিয়ে লেখার অধিকার রয়েছে। তবে অন্য ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু কাউকেই লেখা উচিত না। এটা কখনোই ভালো না। আমরা সব ধর্মীয় সংস্কৃতিই উদযাপন করি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –