• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঢাবিতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অন্তত ১৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ বছর আত্মহত্যা বেড়েছে আশংকাজনক হারে।

চলতি বছরের ১১ মাসে আত্মহত্যা করেছেন ৯ শিক্ষার্থী। শুধু গত ১২ থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যেই আত্মহত্যা করেছেন ৩ শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন একজন।

প্রেমঘটিত কারণ, পারিবারিক অভাব অনটন, বেকারত্ব, একাডেমিক চাপসহ বিভিন্ন বিষণ্নতার কারণে তারা এ পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে সর্বশেষ বৃহসম্পতিবার হুজাইফা নামে এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। গাজীপুরের টঙ্গীতে নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী হুজাইফা রশিদ আত্মহত্যা করেন।

যশোরের নিজ বাড়িতে ১৬ নভেম্বর আত্মহত্যা করেন ২০১০-১১ সেশনের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মেহের নিগার দানি। তিনি ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ৫০৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

ঢাবি অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী লায়লা আঞ্জুমান ইভা ১৪ নভেম্বর আত্মহত্যা করেন।

বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ফাহমিদা রেজা সিলভী আত্মহত্যা করেন ১২ নভেম্বর।

অভাবের তাড়নায় সুইসাইড নোট লিখে জাকির হোসেন নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন ১৫ অক্টোবর। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী।

৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আফিয়া সারিকা আত্মহত্যা করেন।

১৫ আগস্ট রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আত্মহত্যা করেন ঢাবির সঙ্গীত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিক মাহবুব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ ভবনের নয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে সন্ধ্যাকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান আত্মহত্যা করেন ৩১ মার্চ। তার সহপাঠীদের বক্তব্য, তানভীর সরকারি চাকরি না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছিলেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হাজারীবাগের একটি মসজিদ ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তরুণ হোসেন।

 

1.ঢাবিতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরকে আরো কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও হল ও বিভাগসমূহেও হতাশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের প্রতি বাড়তি নজর দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের এ পথ থেকে ফিরে আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমরা ইতিমধ্যে একটি সেমিনার করেছি। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। হল ও বিভাগেও হতাশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও বন্ধুদের সমন্বয়ে আমরা আত্মবিধ্বংসী পথ থেকে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে পারব। এজন্য সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –