তীব্র দাবদাহে বেড়েছে লবণ উৎপাদন
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৪
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে গত চার মাসে লবণ উৎপাদিত হয়েছে ১৭ লাখ মেট্রিক টন। তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ লবণ। তাই বৃষ্টিবিহীন মাঠে মনের আনন্দে কাজ করছেন হাজারো লবণ চাষি। দেশে লবণের টার্গেট মাথায় রেখে উপকূলীয় অঞ্চলের চাষিরা বেশ ভালো লবণ উৎপাদন করছেন। তবে উৎপাদন বেশি হওয়ায় কমতে পারে লবণের দাম।
কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, মহেশখালী, চকরিয়া, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে লবণ উৎপাদিত হচ্ছে। এসব মাঠে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। গত চার মাস তথা এপ্রিল পর্যন্ত লবণ উৎপাদিত হয়েছে ১৭ লাখ মেট্রিক টন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ কক্সবাজারের ৮ উপজেলার ৪১ হাজার ৭৬৫ জন লবণ চাষি নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে লবণ মাঠে নেমেছেন। অবশ্যই গত বছরের শেষদিকে মাঠে নেমেছেন কোনো কোনো এলাকা বিশেষ করে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও পেকুয়ার লবণ চাষিরা।
চাষিরা বলছেন, বৃষ্টিপাত না থাকায় বা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এতো বেশি লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। যে জমিতে লবণ উৎপাদন হয় সেই একই জমিতে বর্ষা মৌসুমে বাগদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষ হয়। কিছু কিছু জমিতে ধানও উৎপাদন হয়।
কক্সবাজার লবণ উৎপাদনকারী সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা এ বছর টার্গেট অতিক্রম করতে পারবেন।
চলতি মৌসুমের শুরুতেই মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম ভালো থাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে লবণ চাষে নেমেছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে লবণ চাষ করছেন চাষিরা। তবে তাদের আশঙ্কা; বিদেশ থেকে লবণ আমদানি করা হলে তারা যথাযথ দাম পাবেন না। সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন চাষিরা। ভবিষ্যতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি মধ্যস্বত্বভোগী গোষ্ঠী ভুল বুঝিয়ে লবণ আমদানি করে দেশের চরম ক্ষতি করছে। ফলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে লবণ চাষিদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন। বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচণ্ড রোদের মধ্যে কাজ করেও তাদের চেহারায় তেমন ক্লান্তির ছাপ নেই।
চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে লবণ উৎপাদনের ক্ষেত্র হচ্ছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী। এসব এলাকায় উৎপাদিত লবণ দিয়ে সারা দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব।
টেকনাফ-কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলসহ উপকূলীয় এলাকায় লবণ চাষিরা বলছেন, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়। তারাও তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের দাবি, কোনোভাবেই যেনো লবণ আমদানি করা না হয়।
মহেশখালী লবণ চাষি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দীন জানান, দেশে প্রচুর লবণ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। চাষিদের সরকারিভাবে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে পৃষ্ঠপোষকতা করা হলে উৎপাদন আরো বাড়বে। এতে সরকারেরও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাওয়ার সুযোগও তৈরি হবে।
বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে দেশে লবণের চাহিদা ২৫ দশমিক ২৮ লাখ টন। মৌসুমের শুরুতে মাঠ পর্যায়ে মজুত রয়েছে ১ দশমিক ৬০ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ মৌসুমে চাহিদা ছিল ২৩ দশমিক ৮৫ লাখ টন। ওই মৌসুমে উৎপাদন হয় ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন। ২০২৩-২৪ মৌসুমে লবণের মূল্য ধরা হয়েছে মণ প্রতি ৫২৬ টাকা এবং টন প্রতি ১৩ হাজার ১৪৬ টাকা।
তবে চাষিরা বলছেন, প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। এছাড়া বৃহৎ লবণ কেন্দ্র রয়েছে কুতুবদিয়ার লেমশিখালী, উত্তর নলবিলা, মহেশখালীর গোরকঘাটা, মাতারবাড়ি, ঈদগাঁওর গোমাতলি, পেকুয়ার দরবেশকাটা, চকরিয়ার ডুলাহাজারা ও ফুলছড়ি, টেকনাফ ও বাঁশখালীর পূর্ব বড়ঘোনায়।
লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় কক্সবাজারের পরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. ইদ্রিস আলী জানান, নভেম্বরের শুরু থেকে মাছ চাষ, কাঁকড়া চাষ ও ধানের চাষ প্রায় শেষ হয়। এরপর থেকে চাষিরা লবণ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। বৃষ্টি না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তারা আরো উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প করপোরেশনের লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের (বিসিক) উপমহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, যে জমিতে আগে ১২ থেকে ১৩ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হতো, আর সেই একই জমিতে এখন ২৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে চাষিরা মাঠে কাজ করছেন। এর কারণ আগে সনাতন প্রযুক্তিতে কাঁদা লবণ উৎপাদন হতো মাঠে। আমরা চাষিদের সেখান থেকে বের করে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে সাদা লবণ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের চৌফলদন্ডীতে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এতে কীভাবে আরো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা বছর লবণ উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে। আগামীতে আরো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প ব্যয়ে ও কম সংখ্যক মানুষকে কাজে লাগিয়ে বেশি লবণ উৎপাদনে আমরা আশাবাদী। তবে উৎপাদন বেশি হওয়ায় কমতে পারে লবণের দাম।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- ব্যাট হাতে শান্ত-রিয়াদের প্রতিরোধ
- ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করা নিয়ে যা বললেন শ্রুতি
- কোরআন ও হাদিসে হজের গুরুত্ব
- ইতিহাসের এই দিনে, দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ
- থামছেই না ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ
- প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি`র ফল হস্তান্তর
- জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
- সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালুর তারিখ জানালেন রেলমন্ত্রী
- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই’
- ঈদুল আজহায় ছুটি কয়দিন জানা গেল
- বিড়ি কারখানায় স্বাস্থ্যঝুঁকি, জানেন না ৫৮% শ্রমিক
- প্রযুক্তির ব্যবহারকারী না হয়ে যা হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
- নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করাই বর্তমান কমিশনের মূল লক্ষ্য: ইসি রাশেদা
- গ্রিডের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন ৩ সঞ্চালন লাইন চালু
- রংপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
- পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৩ প্রার্থী
- ঘুম ঘুম চোখে চা দোকানে লরি উঠিয়ে দিলেন চালক, নিহত ২
- চমক রেখে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা নামিবিয়ার
- সৌদি তরুণীদের প্রেরণা কে এই মারিয়া?
- যে দিনগুলোতে ওমরাহ করা নিষিদ্ধ
- আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ
- চীনা বিশেষজ্ঞকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত করলেন বাইডেন
- স্কুল-কলেজের সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ
- নতুন নকশায় বর্ধিত হচ্ছে মেট্রো লাইন
- ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার প্রস্তাব পাস
- প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনা তদারক করছেন: পলক
- অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের মূল চালিকাশক্তি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকায় লোডশেডিং দেওয়ার ইঙ্গিত বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর
- ৭ মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু পথনির্দেশ দিয়েছিলেন: গণপূর্তমন্ত্রী
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- ৬ শতাধিক পটল গাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা, দিশেহারা কৃষক
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৩ প্রার্থী
- টানা ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- দাঁতের যন্ত্রণায় আইসক্রিম খেতে পারছেন না?
- ঘোড়াঘাটে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
- রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু মঙ্গলবার