নীলফামারীতে এবার পাটের ব্যাপক ফলনের আশা কৃষকের
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২
নীলফামারীতে এবার পাটের ব্যাপক ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। সোনালি আঁশ পাট চাষে কৃষকের লাভ বেশি হওয়ার পাশাপাশি পাট চাষে ঝুঁকি কম থাকায় কৃষকরা পাট চাষের প্রতি ঝুঁকছেন। স্বল্প খরচ ও বেশি লাভের আশায় কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
এক সময় অর্থকারী ফসল হিসেবে নীলফামারী জেলায় পাটের চাষ বেশি হলেও দাম না থাকার পাশাপাশি পাটের পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় এখানকার কৃষকরা পাট চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিল। গত কয়েক বছর ধরে পাটের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি পাট দ্রব্য ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় আবারও এটি চাষের ঝুঁকছেন কৃষকরা।
এখন অনেক জায়গায় পাট কাটা শুরু হলেও বেশিরভাগ জমির পাট কাটাতে আরও মাসখানেক বাকি আছে। তাই শেষ মুহূর্তে পাট ক্ষেত পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। পাটচাষি রামকৃঞ্চ রায় জানান, চৈত্র মাসে জমি তৈরি করে বীজ বপন হয়। বীজ বপনের পর আবারও জমিতে হাল দিয়ে সার ছিটানোর পর কয়েকদিনের মধ্যে গাছ গাজানো শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, প্রতি বিঘায় তিন পোয়া থেকে এক কেজি পর্যন্ত পাটের বীজ প্রয়োজন। দুই থেকে তিনবার পাট ক্ষেতে সার দিতে হয়।
হরিণচড়া এলাকার কৃষক সামিউল বাবু বলেন, পাটের দাম দিন দিন বাড়ছে। তাছাড়া পাট ঘড়ে তোলা পর্যন্ত বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। পাটের পাশাপাশি পাট খড়ির দামও প্রচুর ফলে কৃষকরা বেশি লাভবান হওয়ায় কারণে পাট চাষ করছেন। এবার দুই বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আরও কয়েকদিন লাগবে ক্ষেত থেকে পাট তুলতে। বিঘায় ৯ মণের মতো পাট হতে পারে বলে আশা করছি।
নীলফামারী সদর উপজেলার চত্তড়া বড়গাছা গ্রামের স্বপন জানান, এবার তিন বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছেন তিনি। দুই বিঘা জমির পাটের ফলন ভালো হলেও একটি ক্ষেতে পাটের গাছ ঠিকমত বাড়েনি। অতিবৃষ্টির কারণে এমনটি হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
তারপরও বিঘা প্রতি ৮ মণ করে পাট হবার সম্ভবনা রয়েছে। একই গ্রামের কাসেম জানান, দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছে বাকি সময়টাতে রোগজীবাণু আক্রমণ না করলে ফলন ভালো হবে।
পাট চাষে বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়ে থাকে বলে তিনি জানান। তাছাড়া পাটের পাশাপাশি পাট খড়িও বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় পাট চাষে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
ডোমার সদরের পাটচাষি তফিজুল ইসলাম জানান, ফাল্গু ও চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত পাট বীজ বপন করার সময়। এই সময়ের মধ্যে সঠিক পদ্ধতিতে বীজ বপন ও পরিচর্যা করতে পারলে বিঘা প্রতি ১০ মণের বেশি পাটের ফলন হতে পারে। তাছাড়া বিঘাপ্রতি প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার পাট খড়িও বিক্রি করা সম্ভব। তিনি বলেন, গতবার ১ বিঘা জমিতে পাট চাষ করলেও এবার ৫০ শতক জমিতে পাটের আবাদ করেছেন।
সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়ি এলাকার সুরেশ জানান, ৪ বিঘা জমিতে পাট লাগিয়েছেন তিনি। পাটের আবাদও ভালো হয়েছে। এখন ক্ষেত থেকে পাট গাছ তোলা হচ্ছে। এরপর পাতা ফেলার পরে পাট গাছে জাগ দেওয়া হবে। জাগ দেওয়ার জায়গাও প্রস্তুত করা হয়েছে।
পাট ব্যবসায়ী অসিম কুন্ডু জানান, গতবার পাটের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৪০০ টাকা। তবে প্রথম অবস্থায় পাটের মণ ছিল দুই হাজার টাকা করে। এবার বাজারে এখনো পাট উঠেনি। তবে পুরাতন পাট ২৭০০ টকা মণ দরে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী বিপুল ইসলাম জানান, বাজারে নতুন পাট উঠতে এখনো মাস খানেক লাগবে।
পুরাতন পাট ভালোটা ২৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতবার সর্বোচ্চ ৩৪০০ টাকা করে পাটের মণ ছিল। বোড়াগাড়ী পারঘাটের কৃষক আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এই অঞ্চলের পাট এক সময় দেশের বড় বড় মিলগুলোতে যেত। এই এলাকার পাটের অনেক চাহিদা ছিল। খুলনা থেকে বড় বড় মিলের কোম্পানির লোকজন পাট কিনতে বছরের ১০ মাসেই এই এলাকায় পরে থাকত।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, অতিবৃষ্টির কারণে গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে কম পাটের চাষ হয়েছে। এবার ৬৭১০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে জানিয়ে বলেন, কম আবাদ হলেও এবার ফলন ভালো হয়েছে। পাট চাষে কম ঝুঁকি ও লাভ বেশি হওয়ার কারণে নীলফামারীতে আগামীতে আরও বেশি জমিতে পাটের আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –- উপজেলা নির্বাচন: মাঠে নেমেছে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি
- ‘ভোট বর্জনের আহ্বান বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার’
- মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানোয় সুনাম নষ্ট হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
- কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর হতাহতের খবর মেলেনি: মন্ত্রণালয়
- ‘উদ্যোক্তা হতে সরকারের সুবিধা ছেলে-মেয়েদেরকে নিতে হবে’
- যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই আরো চীনমুখী হচ্ছে বাংলাদেশ: পর্যবেক্ষণ
- রূপপুর প্রকল্প: ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়াতে মস্কোকে ঢাকার চিঠি
- উপজেলা নির্বাচন: অভিযোগ জানানো যাবে ৯৯৯-এ
- কখন আঘাত হানবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রোমাল, জানা গেল
- ভাঙ্গা থেকে যশোর নতুন রেললাইন চালু অক্টোবরে: রেলমন্ত্রী
- গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১৭
- ‘একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে’
- সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী
- টেকসই নগরায়ণে সরকার বদ্ধপরিকর: এলজিআরডিমন্ত্রী
- ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এক সপ্তাহ পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- মধ্যরাতে পুড়ল ১১ দোকান, যেভাবে লাগে আগুন
- খড়ি শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
- গোসল করে জুমার নামাজ পড়া হলো না মুরাদের
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার
- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র’
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- ওজন কমাতে চাইলে যে ৪ ফল খাবেন
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালুর তারিখ জানালেন রেলমন্ত্রী
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৩ প্রার্থী
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- বিশ্বকাপের টিকিট পেতে পারেন যে ১৫ ক্রিকেটার
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল