• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নৌবাহিনীতে আরও ২টি প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২২  

দেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীতে আধুনিক ২টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৩০ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে এমপিএ ২টি সংযোজন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মেচন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

এর আগে ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মত ২টি এমপিএ নেভাল এভিয়েশনে সংযোজন করেন। এর মধ্যমে নৌবাহিনীর নেভাল এভিয়েশন এমপিএ স্কোয়াড্রনে মোট ৪টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করল। 

আধুনিক সেন্সর ও মিশন ইকুইপমেন্ট সম্বলিত নতুন ২টি ডর্নিয়ার ২২৮ এনজি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২২৩ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। নতুন এমপিএ ২টিতে গভীর সমুদ্রে নজরদারী পরিচালনার জন্য যুক্ত রয়েছে সার্ভেইল্যান্স রাডার, ইলেক্ট্রো অপটিক ইনফ্রারেড ক্যামেরা, ট্যাকটিক্যাল ডেটা লিঙ্ক ও সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ডিটেকশন ফাইন্ডার। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতেই ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি যুগোপযোগী ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নৌবহরে যুদ্ধজাহাজ সংযোজন, বিদ্যমান জাহাজসমূহের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অপারেশনাল এভিয়েশন উইং গঠনসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট এবং সাবমেরিনসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্র ভিত্তিক শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনের জন্য শক্তিশালী নৌবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। 

এই নতুন ২টি এমপিএ সংযোজনের মাধ্যমে নেভাল এভিয়েশনের সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা টহল দেওয়া আরও সহজ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হলে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল তাকে স্বাগত জানান। এসময় নেভাল এভিয়েশনের একটি চৌকস দল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। 

উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌ সদর দপ্তরের পিএসওগণ, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডারগণ, মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –