পাঁচ বছরে সরিষার আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর তিন জেলা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়। এ তিন জেলায় বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত কয়েক বছরে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। এতে করে ধান, গম, ভুট্টা, আলুর পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে সরিষার আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
এ অঞ্চলে চলতি মৌসুমেও সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এতে করে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি মাটির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরিষা চাষে ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমিতে থাকা ক্ষতিকর জীবাণুও। পাশাপাশি সরিষা ক্ষেতে মৌচাষ করে মধু উৎপাদনের মাধ্যমে অনেক বেকার যুবকের জীবিকার পথও সুগম হয়েছে।
আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। দেশে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের চাহিদাপূরণ ও ভোজ্যতেলের আমদানি-নির্ভরতা কমাতে সরকার তেলজাতীয় ফসলের বৃদ্ধির জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। গত তিন বছরে এ প্রকল্পের মাধ্যমে আশাতীত ফলাফল পাওয়া গেছে।
এ প্রকল্পের অধীনে কৃষি ব্যবস্থায় আধুনিকায়নের মাধ্যমে দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করে অধিক ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে। বিশেষ করে সরিষা, তিল, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, সয়াবিন উৎপাদন বৃদ্ধি এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়ের ১০ উপজেলা প্রকল্পের আওতাভুক্ত করে কাজ শুরু করা হলেও এরইমধ্যে ভালো ফলন ও আশানুরূপ দাম পাওয়ায় তিন জেলার সব উপজেলাতেই এর ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
এ অঞ্চলের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমন ধান তোলার পর অনেক জমি পরবর্তী বোরো ধান বপনের আগ পর্যন্ত অনাবাদি অবস্থায় পড়ে থাকত। কিন্তু বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা আবাদ করে কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
তারা জানান, সরিষা তোলার পর অনায়াসে বোরো ধান বপন করা সম্ভব। পাশাপাশি মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা আবাদের কারণে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর রোগবালাই দমনেও সহায়ক হচ্ছে।
তেলজাতীয় ফসলের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সম্প্রসারণ প্রকল্প থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে সরিষার আবাদ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ রবি মৌসুমে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় তিন জেলা মিলে মোট ২৫ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়। আর এতে ফলন হয় ৩৯ হাজার ৩১০ মেট্রিক টন। সরকারের কৃষিবান্ধব প্রকল্পের কল্যাণে তিন জেলায় গত পাঁচ বছরে সরিষার আবাদ আশাতীত বেড়েছে।
গত ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে মোট ৪৫ হাজার ৫২৮ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়। এতে ফলন হয় ৬৯ হাজার ৬৮৯ মেট্রিক টন সরিষার। চলতি মৌসুমেও ৫৬ হাজার ৭৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আর এতে ৮৬ হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন ফলন পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
চলতি বছরে ৩ একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া এলাকার কৃষক শাহিনুর আলম। তিনি জানান, ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে। আগে সামান্য সরিষা আবাদ করে আলু আবাদ করতেন। কিন্তু বর্তমানে সরিষার ভালো দাম পাওয়ায় সরিষার আবাদ বাড়িয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মাধবপুর গ্রামের কৃষক রিয়াজুল ইসলাম জানান, আগে তিনি সারিষার আবাদ করতেন না। কিন্তু কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি গত তিন বছর ধরে সরিষার আবাদ করছেন। এতে তিনি আর্থিকভাবে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হচ্ছেন।
তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের দিনাজপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, বৃহত্তর দিনাজপুরে এ প্রকল্পের মাধ্যমে এ অঞ্চলের জমিগুলোকে দুই ফসলের মধ্যবর্তী সময়ে চাষের আওতায় এনে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে তেলের ঘাটতি পূরণ ও বৈদেশিক নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষকেরা সরিষার আবাদের মাধ্যমে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, তেমনি বৈদেশিক নির্ভরতা কমছে আবার সরিষা আবাদের কারণে পরবর্তী ফসলে সারের খরচও কমছে। জমির উর্বরতাও বাড়ছে। – দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –
- উপজেলা নির্বাচন: অভিযোগ জানানো যাবে ৯৯৯-এ
- কখন আঘাত হানবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রোমাল, জানা গেল
- ভাঙ্গা থেকে যশোর নতুন রেললাইন চালু অক্টোবরে: রেলমন্ত্রী
- গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১৭
- ‘একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে’
- সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী
- টেকসই নগরায়ণে সরকার বদ্ধপরিকর: এলজিআরডিমন্ত্রী
- ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এক সপ্তাহ পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- মধ্যরাতে পুড়ল ১১ দোকান, যেভাবে লাগে আগুন
- খড়ি শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
- গোসল করে জুমার নামাজ পড়া হলো না মুরাদের
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- রাজশাহীর আম দেখতে আসবে চীনের প্রতিনিধিদল: কৃষিমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আ’লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধ আহত, তিনটি গবাদিপশুর মৃত্যু
- হিলিতে প্রথমবার কিনোয়া ও চিয়া সিড চাষাবাদ
- কাহারোলে বোরো সংগ্রহের উদ্বোধন
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার
- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র’
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- ওজন কমাতে চাইলে যে ৪ ফল খাবেন
- দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালুর তারিখ জানালেন রেলমন্ত্রী
- বীরগঞ্জে হবিবর রহমান স্মৃতি রোগ প্রতিরোধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১৩ প্রার্থী
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- বিশ্বকাপের টিকিট পেতে পারেন যে ১৫ ক্রিকেটার
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল