• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাড়িতে পড়েই গ্রামের প্রথম ক্যাডেটে চান্স পেল আরাফাত

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৪  

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরজাহানপুর অব. সামরিক কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরাফাত সিদ্দিকী। ব্যবসায়ী বাবা এবং স্কুল শিক্ষিকা মায়ের পরিবারে প্রথম সন্তান সে। ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে মেধাবী এই শিক্ষার্থী।

আরাফাত সিদ্দিকী ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নুরজাহানপুর গ্রামের মশিউর রহমান সিদ্দিকী রানার ছেলে। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী এবং মা নাসরিন আক্তার দক্ষিণ জয়দেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। দুই ভাই বোনের মধ্যে আরাফাত বড়। গ্রামটি থেকে প্রথমবারের মতো কোনো শিক্ষার্থী ক্যাডেট কলেজে ভর্তির সুযোগ পেল। এতে উচ্ছ্বসিত আরাফাতের পরিবারসহ পুরোগ্রাম। 

সোমবার (১১ মার্চ) চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। ফলাফলে চলতি বছর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে ভর্তি সুযোগ পেয়েছে ৫৪জন মেধাবী শিক্ষার্থী। এরমধ্যে একজন আরাফাত সিদ্দিকী। আগামী ১৮ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্যাডেট কলেজে ভর্তি কার্যক্রম।

পরিবারের প্রথম সন্তান হওয়ায় বাবা-মায়ের কাছে তিনি ছিলেন বেশ আদরের। আরাফাতের হাতেখড়ি পৌরসভার ব্রাইট কিন্ডার গার্টেন স্কুলে। গত ২০২২ সালে এই কেজি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন সে। এরপর মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিলেন বাড়ির পাশের নুরজাহানপুর অব. সামরিক কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ে। ৬ষ্ঠ শ্রেণী কেটেছে তার এই বিদ্যালয়ে। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় অংশগ্রহণ করেছেন ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায়। কোনো ধরনের কোচিং ছাড়াই শুধুমাত্র বাড়িতে পড়াশুনা করেই সে আজ গ্রামের প্রথম ক্যাডেট কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

এদিকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় মেধাবী আরাফাতকে নিজ দফতরে ডেকে নিয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম। এসময় তিনি তার হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।

মেধাবী শিক্ষার্থী আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, আমার সফলতার পেছনের বড় কারিগর আমার বাবা-মা। আমার জন্য তারা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। তাদের আলোয় আমি আলোকিত হয়েছি। আমি পড়াশুনা শেষ করে দেশের জন্য কাজ করতে চাই। পরিবার ও গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।

আরাফাতের বাবা মশিউর রহমান সিদ্দিকী রানা বলেন, আমি আমার ব্যবসার কাজের বাইরে বাকি সময়টুকু সন্তানের জন্য ব্যয় করতাম। শত কাজের মাঝে তাকে প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যাওয়া এবং নিয়ে আসা আমার নিয়মিত ডিউটি ছিল। এছাড়া আমার স্ত্রী শিক্ষকতা করার সুবাদে স্কুলের এবং পরিবারের কাজের শেষে বাকি সময়টুকু সন্তানের পেছনে লেগে থাকতেন। ফলশ্রুতিতেই আজকের এই আনন্দঘন মুহূর্ত।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –