• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মুক্তি মিলল সেই ৪০ শকুনের

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  

মুক্তি মিলল সেই ৪০ শকুনের                             
রংপুরে দুই বছর তিন মাসে বিপন্ন প্রজাতির ৪০টি শকুন উদ্ধার করে দিনাজপুরের সিঙ্গারা ফরেস্টে মুক্ত দিয়েছে বনবিভাগ। এছাড়া অজগর সাপ, লক্ষী পেঁচা, ময়ূর, সাদাবক, পানকৌড়ি, বনবিড়াল, ঘড়িয়াল, গন্ধগোকূলসহ বিভিন্ন প্রাণী উদ্ধার প্রকৃতিতে ছেড়ে দিয়েছে বনবিভাগ।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ জুন থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১৮টি এবং ২০২১ সালের মে হতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বের পর্যন্ত ২২টি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ ২ সেপ্টেম্বর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় একটি বিপন্ন প্রজাতির শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। 

বনবিভাগ জানায়, উদ্ধার হওয়া শকুনটির পরিচর্যা শেষে সিঙ্গারা ফরেস্টে অবমুক্ত করা হবে। এছাড়া রংপুর নগরী থেকে পেঁচা, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি থেকে একটি ময়ূর, লালমনিরহাট থেকে অজগর, কালিগঞ্জ থেকে বন বিড়াল, পীরগাছা উপজেলা থেকে সাদা বক ও পানকৌড়ি, রংপুর নগরী হতে একটি বানর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুরে তারাগঞ্জ থেকে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এসব প্রাণীকে চিকিৎসা শেষে মুক্ত প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বানরকে রংপুর চিড়িয়াখানায় ময়ূরকে দিনাজপুরের রাম সাগর উদ্যানে দেয়া হয়েছে। 

বন বিভাগ জানায়, বাংলাদেশে ছয় প্রজাতির শকুন দেখা যায়। এরমধ্যে চারটি স্থায়ী এবং দুটি পরিযায়ী। এগুলো হলো- রাজ শকুন, গ্রিফন শকুন বা ইউরেশীয় শকুন, হিমালয়ী শকুন, সরুঠোঁট শকুন, কালা শকুন ও ধলা শকুন। সব প্রজাতির শকুনই সারা বিশ্বে বিপন্ন। তাই শকুন উদ্ধার হলে তাদের বিশেষ যত্ন নেয়া হয়।  

বন বিভাগের রংপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন জানান, গত দুই বছর ৩ মাসে বিপন্ন প্রজাতির ৪০টি শকুন উদ্ধার করে দিনাজপুরের শিঙ্গারা ফরেস্টের রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়। পরে সেগুলোকে আনুষ্ঠানিভাবে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়া হয়।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –