• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তিযোদ্ধাসহ উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮  

বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী, নির্ধারিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে এ সময় তাদের হাতে সম্মানী ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন তিনি।

বুধবার ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের সংবর্ধনা জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নয়জন সেনা, একজন নৌ এবং তিনজন বিমান বাহিনীর সদস্যকে ২০১৭-১৮ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে দেশের যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে তা অব্যাহত রাখাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। নির্বাচনী ইশতেহারে তার দল যে দিন বদলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ হয়েছে। সমৃদ্ধ দেশ গড়ার এ অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা দিয়েছিলাম দিন বদলের সনদ। আপনারাই বিবেচনা করে দেখবেন, সেই দিন বদল আমরা করতে পেরেছিলাম কি না। আমি দাবি করব, আমি অবশ্যই দিন বদল করেছি। তবে আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে, করতে হবে আরো উন্নয়ন। দেশে ৪০ ভাগ দারিদ্র্য ছিল, সেটা আমরা ২১ ভাগে নিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্যের হার আরো পাঁচভাগ কমিয়ে আনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হবে দারিদ্রমুক্ত দেশ।

৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নিকট আত্মীয়সহ প্রায় ১০১ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীরা সংবর্ধনায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের সঙ্গে চা চক্রে অংশ নেন।

এরপর সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে তিন বাহিনী প্রধানরা ২২ নভেম্বর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের আলাদাভাবে সংবর্ধনা দেবেন।

এর অগে সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিউগলে বাজানো হয় করুন সুর। এসময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –