• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

যশোর বিএনপিতে ধোঁয়াশা

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে যশোর বিএনপির মধ্যে কোন্দল দেখা দিয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে অসংখ্য মনোনয়নপ্রত্যাশী মনোনয়ন কিনেছেন। শুরু হয়েছে গ্রুপিং ও লবিং। এদিকে, তরিকুল ইসলামের প্রয়াণে পারিবারিক কোন্দলসহ স্থানীয় নেতাদের মধ্যে মত পার্থক্য লক্ষ করা গেছে। তরিকুল বলয়ের বাহিরে কয়েক নেতা নিজেদের জানান দিয়েছেন। এতে নেতৃত্ব ও নির্বাচনের কাজ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

এরইমধ্যে যশোরের পাঁচটি আসনে বিএনপির ১৭ জন মনোনয়ন কিনে জমা দিয়েছেন। এর দৌঁড়ে রয়েছে অনেকে।

যশোর-১ আসনে চার নেতা মনোনয়নপত্র কিনেছেন। প্রার্থী হওয়ার জন্য গ্রুপ পদ্ধতি কাজে লাগাচ্ছেন তারা। এদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মহসিন কবির, শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির। নিজেদের পক্ষে স্থানীয় নেতাদের দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন তারা।

যশোর-২ আসনে বিএনপির রয়েছে চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা ধানের শীষ প্রতীকের জন্য তোরজোড় চালাচ্ছেন। এ তালিকায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসাহক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নি, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুর্ত্তজা ইলাহী টিপু। তারা নিজেদের বলয়ের লোক দিয়ে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।

যশোর-৩ আসন একচেটিয়া আসন হিসেবে পরিচিত ছিল। বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার মৃত্যুতে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। প্রতীক পেতে এই দৌঁড়ে আছেন তিন প্রার্থী। এরই মধ্যে তরিকুল পরিবারেও সৃষ্টি হয়েছে কোন্দল। এই পরিবার থেকে মনোনয়ন পেতে প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত মনোনয়নপত্র কিনেন। তার গলার কাঁটা হিসেবে আভির্ভূত হয়েছেন তারই চাচাতো ভাই নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম। এছাড়া ধানের শীষ পেতে মরিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।

যশোর-৪ আসনে রয়েছে বিএনপির বিভক্তি। প্রতীক বাগে নিতে তদবির ও প্রচারণা চালাচ্ছেন বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক টিএস আইয়ুব, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মতিয়ার ফারাজী।

যশোর-৫ আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মুসা, মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহিদ ইকবাল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ইফতেখার সেলিম অগ্নি। তারা নিজ অবস্থান থেকে বলয় সৃষ্টি করছেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –